Tiljala Accident:তিলজলায় সাবান কারখানায় দুর্ঘটনা, মৃত ২
Death In Factory:তিলজলায় সাবান কারখানায় দুর্ঘটনা। লেভেল মাপতে গিয়ে পড়ে যান ট্যাঙ্কারের খালাসি। তাঁকে উদ্ধার করতে নেমে অসুস্থ হয়ে পড়েন কারখানার এক শ্রমিক।
সুদীপ্ত আচার্য, হিন্দোল দে ও প্রবীর চক্রবর্তী, কলকাতা: তিলজলায় সাবান কারখানায় (Tiljala Soap Factory Accident) দুর্ঘটনা। লেভেল মাপতে গিয়ে পড়ে যান ট্যাঙ্কারের খালাসি। তাঁকে উদ্ধার করতে নেমে অসুস্থ হয়ে পড়েন কারখানার এক শ্রমিক। প্রায় ৩ ঘণ্টা পর, জোড়া মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
কী ঘটেছিল?
তিলজলা রোডের ওই সাবান কারখানায় দুর্ঘটনায় প্রায় ৩ ঘণ্টার চেষ্টায় জোড়া মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার দুপুরে, তিলজলা রোডের এই সাবান কারখানায় একটি নিম তেলের ট্যাঙ্কার আসে।
২৪ হাজার লিটার নিম তেলবাহী ট্যাঙ্কারের ভেল মাপতে গিয়ে পড়ে যান ট্যাঙ্কারের খালাসি। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁকে উদ্ধার করতে নেমে অসুস্থ হয়ে পড়েন কারখানার এক শ্রমিক। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দমকলের ২টি ইঞ্জিন, কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। প্রায় ৩ ঘণ্টা পর, জোড়া মৃতদেহ উদ্ধার হয়। অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, উদ্ধারকাজে দমকলের এতটা সময় লাগল কেন? যদিও দমকল আধিকারিকদের দাবি, ট্যাঙ্কারের ভিতরে অংশ সংকীর্ণ হওয়ায় উদ্ধার কাজে বেগ পেতে হয়। যে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে, তার মধ্য়ে লোগানাথন উত্তর বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা। অন্য জনের নাম কার্তিক কুমার। ৪৩ বছরের কার্তিক দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের বাসিন্দা।
নতুন নয় অগ্নিকাণ্ড...
প্রসঙ্গত, মার্চ থেকে এপ্রিলের মাঝে ইতিমধ্যেই কলকাতা-সহ একাধিক জেলায় বারবার আগুন লাগার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। দাহ্য পদার্থ থাকায় তো বটেই কখনও শর্টসার্কিটের কারণেও মর্মান্তিক ঘটনার মুখোমুখি হয়েছে রাজ্য। সম্প্রতি তিলজলায় প্রিন্টিং কারখানাতেও ভয়াবহ আগুনের ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় সেবার বাবা ও ছেলের। আর এক ছেলেকে চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তবে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার ঘটেছে। তাঁদের দাবি, আগুন লাগার খবর পেয়েও দেরিতে এসে পৌঁছেছিল দমকল বাহিনী। অপরদিকে, এপ্রিলের শুরুতে বিধ্বংসী আগুন লাগার ঘটেছিল রাজ্যে। সেবার ভরদুপুরে ভয়াবহ আগুনের গ্রাসে গিয়েছিল রানিনগর ১ নম্বর ব্লকের লোচনপুর পঞ্চায়েতের শ্রীরামপুর এলাকা। আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয় সেদিন প্রায় ২৫টি বাড়ি। দমকল ও পুলিশ দেরিতে আসায় ক্ষোভ গিয়ে পড়েছিল পুলিশের গাড়িতেও। একটি পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। স্থানীয়দের দাবি, আগুনে পুড়ে গিয়েছিল প্রায় ২৫ থেকে ৩০টি বাড়ি। বাড়িতে থাকা একের পর এক গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল বলে দাবি ছিল স্থানীয়দের। আগুনে পুড়ে গিয়েছিল সমস্ত কিছুই। আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছিল এলাকায় এই পরিবারগুলি।
আরও পড়ুন:ইডেনে ধোনি-ধমাকা রুখতে কেকেআরের ভরসা স্পিন ত্রিফলা