Kanyashree: কন্যাশ্রী প্রকল্পের ৮ লক্ষ টাকা নিজেদের অ্যাকাউন্টে, গ্রেফতার স্কুলের কর্মী
নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট-এ ছাত্রীদের প্রাপ্য টাকা হাতিয়ে রেখেছেন সন্দীপ রায় নিজেই। শুধু নিজের নয়, বাবার অ্যাকাউন্টেও গিয়েছে বেশ কিছু টাকা।
সুকান্ত দাস, জয়নগর: কন্যাশ্রী প্রকল্পের টাকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল জয়নগরের শ্যামসুন্দর বালিকা বিদ্যালয়ের অস্থায়ী কর্মী ও তাঁর বাবার বিরুদ্ধে। কন্যাশ্রী প্রকল্পের টাকা নিজের ও তার পরিচিতদের অ্যাকাউন্টে ঢুকিয়ে প্রায় ৮ লক্ষ টাকা আর্থিক তছরূপের অভিযোগে গ্রেফতার হয় সন্দীপ রায় ও তাঁর বাবা অনুপ রায়।
জানা গিয়েছে, ওই স্কুলে ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের কাজ করতেন সন্দীপ রায়। এই ঘটনাকে ঘিরে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কীভাবে কন্যাশ্রীর টাকা দিনের পর দিন আত্মসাৎ করতেন সন্দীপ, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্কুলের তরফে জানা যায়, ২০১৭ সাল থেকে ওই স্কুলে কাজ করতেন তিনি। কিন্তু বেশ কিছু ঘটনায় সন্দেহ হওয়ায় ২০২০ সালে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে ছাত্রীদের তরফে অভিযোগ জানান হয়, এক বছর হয়ে গেলেও কন্যাশ্রী প্রকল্পে আবেদন করেও তারা কন্যাশ্রীর টাকা পাননি। এই অভিযোগের পরই তদন্ত করলে দেখা যায় নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট-এ ছাত্রীদের প্রাপ্য টাকা হাতিয়ে রেখেছেন সন্দীপ রায় নিজেই। শুধু নিজের নয়, বাবার অ্যাকাউন্টেও গিয়েছে বেশ কিছু টাকা।
এভাবে, প্রাপ্য টাকা আত্মসাতের ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে অভিভাবকরাও। জয়নগর থানায় সন্দীপ রায়ের দায়ের করা হয় এফআইআর। এরপরই তদন্তে নেমে ওই ব্যক্তির দুটি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়। এই কন্যাশ্রী প্রকল্পের টাকা মোট ৩২টি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে।
ওয়েবসাইটে ছাত্রীদের অ্যাকাউন্ট নম্বর না দিয়ে, নিজের অ্যাকাউন্ট নম্বর সহ পরিচিতদের অ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়েছেন সন্দীপ, এমনটাই জানা যায়। তবে পুলিশের অনুমান, আরও কতজন ছাত্রীর থেকে এ ধরনের প্রতারণা করা হয়েছে তার তদন্ত করে দেখা শুরু করে দিয়েছে তাঁরা। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় বাবা সন্দীপ রায় ও ছেলে অনুপ রায়কে। ধৃতদের শনিবার বারুইপুর আদালতে তোলা হবে বলে জানান হয়েছে।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে স্কুল পড়ুয়া কন্যারা ২৫ হাজার টাকা করে পেয়ে থাকেন।অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে থাকা পরিবারকে সহায়তা করার জন্যই এই প্রকল্পটি চালু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেখানেও ফের দুর্নীতি।