Ghibli Art: জিবলির আড়ালে বিপদ ? আপনার ছবি, তথ্য চুরি করতে পারে সাইবার অপরাধীরা ? সতর্ক করলেন সাইবার বিশেষজ্ঞ
Ghibli Art Trend: জিবলি আর্ট তৈরি করতে গিয়ে নিজের ব্যক্তিগত ছবি দিয়ে ফেলছেন নেটিজেনরা। এই জিবলি ট্রেন্ড আদপে কতটা নিরাপদ ? সতর্ক করলেন সাইবার বিশেষজ্ঞ।

সুকান্ত মুখোপাধ্যায়: সারা বিশ্বজুড়ে এক নয়া ট্রেন্ডে গা ভাসিয়েছেন সকলে। জিবলি আর্টের ট্রেন্ড। নিজের ও পরিবারের মানুষদের ছবি দিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (Ghibli Art) সাহায্যে সেই ছবিকে কার্টুনের মত বানিয়ে সমাজমাধ্যমে আপলোড করছেন অনেকেই। এআইয়ের মাধ্যমে এই কার্টুনের মত ছবি বানানোর আড়ালে বিপদ লুকিয়ে আছে ? এআই মাধ্যমে জিবলি ইমেজ তৈরি আদৌ কতটা নিরাপদ ? সতর্ক করলেন সাইবার বিশেষজ্ঞ সাম্যজিত মুখোপাধ্যায়।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দৌলতে আপনার সাধারণ ছবি নিমেষের মধ্যে কার্টুন ছবিতে পরিণত হচ্ছে। সমাজমাধ্যমে ট্রেন্ডিং এখন জিবলি ইমেজ। প্রিয়জনদের সঙ্গে কাটানো মুহূর্ত থেকে প্রাকৃতিক দৃশ্য কিংবা ব্যক্তিগত ছবি, সবই কার্টুন ইমেজে (Ghibli Art) পরিণত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ববিখ্যাত জাপানি শিল্পী হায়াও মিয়াজাকির অনবদ্য সৃষ্টি জিবলি স্টুডিওর অ্যানিমেশনের আদলে যে কোনও ছবিকেই বদলে দিচ্ছে চ্যাটজিপিটি বা গ্রক এআইয়ের মত প্ল্যাটফর্মগুলি। সমাজমাধ্যমে এই জিবলি আর্টে মজেছে আট থেকে আশি সকলেই। এই জিবলি ট্রেন্ড আদপে কতটা নিরাপদ ? নিজের এআই ইমেজ বানাতে গিয়ে আদপে সাইবার অপরাধীদের পাতা ফাঁদে পা দিচ্ছেন না তো ?
সাইবার বিশেষজ্ঞ সাম্যজিত মুখোপাধ্যায় জানান, 'নিজেকে সুরক্ষিত রাখাটা এআইয়ের দুনিয়ায় সবথেকে বেশি জরুরি। আপনি যে ছবি আপলোড করছেন সেখান থেকে আপনার ছবি বা তথ্য অন্য কোথাও চলে যাবে না, বা আপনার ছবিটা কোথাও বিক্রি হবে না, তেমন কোনও স্বীকারোক্তি কোথাও দেওয়া নেই। একটা ফোনে যখন আপনি ছবি তোলেন, তার সঙ্গে সেই ছবি সম্পর্কে সমস্ত তথ্য পাওয়া যায় আপনার ফোনেই। একইভাবে কেউ যখন তাঁর ছবি এআই প্ল্যাটফর্মে আপলোড করছে, ছবির ব্যাকগ্রাউন্ডের সেই তথ্যগুলি তো চলে যাচ্ছে এই প্ল্যাটফর্মগুলিতে।'
জিবলি আর্ট তৈরি করতে গিয়ে নিজের ব্যক্তিগত ছবি দিয়ে ফেলছেন নেটিজেনরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই জিবলি ইমেজের (Ghibli Art) মেন সার্ভার রয়েছে আমেরিকায়। তবে এই বিপুল পরিমাণ ছবি বা তথ্য কোন সার্ভারে গিয়ে জমা হচ্ছে তা এখনও অজানা। ফলে অজান্তেই ব্যক্তিগত তথ্য চলে যাচ্ছে দেশের বাইরে অন্য কারো হাতে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা ডিপফেক, ফেক পর্নোগ্রাফি এমনকী ডার্ক ওয়েবেও বিক্রি হতে পারে ব্যক্তিগত ছবি। যে কোনও মুহূর্তে সাইবার অপরাধের শিকার হতে পারেন আপনি। সেক্ষেত্রে পুলিশ বা প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও সেভাবে সুরাহা হবে না বলেই আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
সাইবার বিশেষজ্ঞ সাম্যজিত মুখোপাধ্যায় জানান, 'এরা বট টেকনোলজিতে বিশ্বাস করে যার অর্থ বিল্ড অপারেট দেন ট্রান্সফার। প্রথমে আপনার সম্পর্কে ধীরে ধীরে তথ্য সংগ্রহ করা হবে, একে বলে বিল্ড। তারপর সেটিকে অপারেট করব বা অ্যানালাইসিস করা হবে যে এই ব্যক্তি কোথায় থাকেন, পরিবারে কে কে আছেন ইত্যাদি। আর শেষে ডেটা ট্রান্সফার করা হবে যাতে আপনি বিপদে পড়তে পারেন। ফলে এই ধরনের ওপেন এআইয়ের মত প্ল্যাটফর্মে যদি আপনি আপনার নিজের ছবি স্বেচ্ছায় দিয়ে থাকেন, তাহলে ভবিষ্যতে যদি কোনও সমস্যা হয়, তাতে না সরকার না অন্য কেউ দায়ী থাকবে।'
পরিসংখ্যান বলছে এই কার্টুন ইমেজ তৈরির জন্য সম্প্রতি ১০ লক্ষ নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়েছে এআই মাধ্যমে। মাত্র ৩০ ঘণ্টায় ১ কোটি ছবি আপলোড করা হয়েছে সার্ভারে।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
