ED: অফলাইন রেজিস্ট্রেশনের নামে নেওয়া হয়েছিল মোটা অঙ্কের টাকা! মানিক ভট্টাচার্যর বিরুদ্ধে আদালতে দাবি ইডি-র
সেই টাকা সরাসরি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তত্কালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর কাছে পৌঁছয় বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানান তাপস মণ্ডল। আদালতে দাবি ইডি-র।

প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: ছশোরও বেশি ডিএলএড কলেজ থেকে অফলাইন রেজিস্ট্রেশনের নামে নেওয়া হয়েছিল মোটা অঙ্কের টাকা। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক ভট্টাচার্যর বিরুদ্ধে আদালতে দাবি করল ইডি। এবার মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের কাছ থেকে চাওয়া হল অফলাইন রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত নথি। ইডি-র দাবি, ২০১৮-২০২২ পর্যন্ত ৩টি সেশনে ছশোরও বেশি ডিএলএড কলেজে অফলাইনে ভর্তির জন্য আবেদনকারী পিছু নেওয়া হয়েছিল ৫ হাজার টাকা।
সেই টাকা সরাসরি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তত্কালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর কাছে পৌঁছয় বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানান তাপস মণ্ডল। আদালতে দাবি ইডি-র। সূত্রের খবর, নিয়ম বহির্ভূতভাবে যাঁরা অফলাইনে ভর্তি হয়েছিলেন, তাঁরা পরবর্তীকালে ঘুষ দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন কি না, এবার খতিয়ে দেখতে চায় ইডি। সেই কথা মাথায় রেখেই মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের কাছ থেকে অফলাইন আবেদনকারীদের তালিকা চাওয়া হয়েছে।
ডিএলএড-এর পড়ুয়াদের অফলাইন রেজিস্ট্রেশনের জন্য নগদ টাকা নেওয়া হয়েছিল। আদালতে এমনই দাবি করল ইডি। নিয়ম বহির্ভূতভাবে যাঁরা অফলাইনে ভর্তি হয়েছিলেন, তাঁরাই কি পরবর্তীকালে ঘুষ দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন কি না? এবার এই বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন ED’র অফিসাররা।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে চাঞ্চল্যকর দাবি করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ৬০০’র বেশি D.EL.ED কলেজ থেকে পড়ুয়াদের অফলাইন রেজিস্ট্রেশনের জন্য মোটা অঙ্কের নগদ টাকা নেওয়া হয়েছিল। মানিক ভট্টাচার্যকে হেফাজতে চেয়ে আদালতে পেশ করা রিমান্ড লেটারে এমনটাই দাবি করেছে ED। সূত্রের দাবি, এ’বিষয়ে মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের কাছ থেকে অফলাইন রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত নথি চাওয়া হয়েছে।
রিমান্ড লেটারে ED দাবি করেছে, ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৩টি সেশনে রাজ্যের ছ’শোরও বেশি D.EL.ED কলেজে অফলাইনে ভর্তির জন্য পড়ুয়া পিছু ৫ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়েছিল। সেই নগদ টাকা সরাসরি পৌঁছে যেত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তত্কালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর কাছে।
সূত্রের দাবি, নিয়ম বহির্ভূতভাবে যাঁরা অফলাইনে ভর্তি হয়েছিলেন, তাঁরাই কি পরবর্তীকালে ঘুষ দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন কি না? এবার এই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে চান ED’র অফিসাররা। ED’র তদন্তকারীরা মনে করছেন, বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক হিসাবে পুরো বিষয়টি জানতেন তাপস মণ্ডল। সূত্রের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদের সময় টাকা নেওয়ার বিষয়টি মেনে নিয়েছেন তাপস মণ্ডল। এই অবস্থায়, অফলাইনে ভর্তি হওয়া প্রার্থীদের তালিকা তাপস মণ্ডলের কাছে চাওয়া হয়েছে।






















