Abhijit Ganguly Exclusive:'আশা করব অন্যান্য বিচারপতিদের থেকে ওঁরা সাহায্য পাবেন', ইস্তফার সিদ্ধান্তের পর চাকরিপ্রার্থীদের উদ্দেশে বার্তা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
ABP Ananda Exclusive:লোকসভা ভোটের মুখে বড় ঘোষণা কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। কিন্তু যে চাকরিপ্রার্থীরা সুবিচারের আশায় তাঁর এজলাসে আসতেন, তাঁদের কী বার্তা দেবেন তিনি?
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) মুখে বড় ঘোষণা কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly Exclusive)। শীঘ্রই ইস্তফা দিতে চলেছেন তিনি। এবিপি আনন্দে এক্সক্লুসিভ (ABP Ananda Exclusive) সাক্ষাৎকারে জানালেন এই সিদ্ধান্তের কথা। সাক্ষাৎকারে উঠে এল আরও কিছু কথা। যে চাকরিপ্রার্থীরা তাঁর এজলাসে সুবিচারের আশায় আসতেন, তাঁদের উদ্দেশে কী বার্তা দিলেন তিনি? দেখে নেওয়া যাক এক নজরে।
প্রশ্ন:'যাঁরা ময়দানে বসে রয়েছেন, যাঁরা চাকরিপ্রার্থী, যাঁরা সুবিচার চান, তাঁরা আশা করেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই বছর আরও কিছু দিন বিচারপতি থাকবেন ও তাঁরা সুবিচার পাবেন। তাঁদের উদ্দেশে কী বলবেন স্যার?'
উত্তর: 'খুব বেশি কিছু বলার আমার নেই। বিচারপতি হিসেবে অসহায় মানুষগুলিকে যে পরামর্শ দিতে পারতাম, যে আপনি লিগাল এডে যান বা কোনও আইনজীবীকে হয়তো বলতাম, ওঁর কেসটা দেখুন। দেখে, যা করার করুন। এই ভাবে সাহায্য় করার চেষ্টা করতাম। এটা একেবারেই ব্যতিক্রমী, আমি আমার ২৩-২৪ বছরের আইনজীবী জীবনে কোনও বিচারপতি এমন কোনও কথা বলছেন বা অসহায়ের পাশে দাঁড়াচ্ছেন দেখিনি। আর বিচারপতি হওয়ার পরে কোর্টরুমে কী হচ্ছে, সেটা তো দেখতে পাই না। সেটা বলতে পারব না। তবে আমি মনে করেছি, আমার দেশের মানুষ অত্যন্ত অসহায়। এমনকি, লেখাপড়া জানা মানুষও যখন কোনও আইনি সমস্যায় পড়েন, তাঁরাও খুব অসহায় বোধ করেন। ওঁদের যতটা পেরেছি, আমার বোধবুদ্ধি অনুযায়ী, ক্ষমতার মধ্যে থেকে, বলেছি। সেটা তো আর আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আশা করব, তাঁরা আদালতের অন্যান্য বিচারপতিদের থেকে এই সহযোগিতা পাবেন। আশা করা ছাড়া আর কী উপায় আমার রয়েছে?'
আর যা...
এবিপি আনন্দকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই ঘোষণা করলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এবিপি আনন্দের প্রতিনিধি সৌভিক মজুমদারকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে মুখ খোলেন তিনি। বলেন, "আমার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত তো বটেই। আমি খুব শীঘ্র পদত্যাগ করতে চলেছি বিচারপতির পদ থেকে। মঙ্গলবার ইস্তফা দেব। এই সিদ্ধান্তের বিশদ কারণ পরে বলব। আজ শুধু এটুকু বলব যে, আদালতে আমি যে কাজটা করি, সেই কাজের সময়টা আমার অন্তর বলছে যে শেষ হয়েছে। এখন হয়ত আমাকে বৃহত্তর ক্ষেত্রে যেতে হবে, মানুষের মধ্যে। আমি একটা বৃহত্তর ক্ষেত্রে পদার্পণ করতে চাই। কারণ আদালতে তাঁরাই আসেন, যাঁরা মামলা করতে চান। তার বাইরে বহু মানুষ পড়ে থাকেন। আমার মনে হয়েছে বিচারব্যবস্থায়, আদালত নামের যে প্রতিষ্ঠান, যেখানে ছ'বছর বিচারপতি হিসেবে কাজ করলাম, সেখানে আমার কাজ শেষ হয়েছে। এখানে আর নতুন করে কিছু করার নেই।"