Abhishek Banerjee: মানুষ চাইলে CPM প্রার্থীর সঙ্গেও কথা, ‘ভারত জোড়ো’ নয় জনসংযোগ যাত্রা, বললেন অভিষেক
Panchayat Elections 2023: বৃহস্পতিবার কলকাতায় তৃণমূল ভবনে 'জনসংযোগ যাত্রা'র আনুষ্ঠানিক সূচনা ঘটান অভিষেক।
কলকাতা: ঘোষণা হওয়া মাত্রই তুলনা শুরু হয়। তা মাথায় রেখেই 'জনসংযোগ যাত্রা'র সূচনা করলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Elections 2023) আগে প্রচারাভিযান হিসেবেই দেখা হচ্ছে এই 'জনসংযোগ যাত্রা'কে। অবধারিত ভাবে তুলনা হচ্ছে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর 'ভারত জোড়ো যাত্রা'র (Bharat Jodo Yatra) সঙ্গে। যদিও অভিষেকের দাবি, তাঁর এই যাত্রা মোটেও 'ভারত জোড়ো যাত্রা' নয়।
বৃহস্পতিবার কলকাতায় তৃণমূল ভবনে 'জনসংযোগ যাত্রা'র আনুষ্ঠানিক সূচনা ঘটান অভিষেক। সেখানে তিনি জানান, ২৫ এপ্রিল থেকে এই যাত্রা শুরু করতে চলেছেন তিনি। তবে খাতায়-কলমে এই কর্মসূচির নাম রাখা হয়েছে 'তৃণমূলে নবজোয়ার'। এই কর্মসূচির দু'টি অঙ্গ রয়েছে, প্রথমটি হল, জনসংযোগ যাত্রা, এবং দ্বিতীয়টি হল, গ্রাম বাংলার মতামত। তার আওতায় গ্রামাঞ্চলের মানুষের সঙ্গে সংযোগ বাড়ানো, প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তাঁদের পছন্দ-অপছন্দকে প্রাধান্য দেওয়া হবে বলে জানান অভিষেক।
অভিষেক জানিয়েছেন, রাজ্যের ৬০ হাজার গ্রামীণ বুথে কে প্রার্থী হবেন, তা নিয়ে মানুষের মতামত নেবে তৃণমূল। বছরের ১২ মাস, দিনের ২৪ ঘণ্টা মানুষের পাশে থেকে পরিষেবা পৌঁছে দেবেন যিনি, এমন কাউকেই পঞ্চায়েতে প্রার্থী করা হবে বলে জানান অভিষেক। তিনি জানান, সাধারণত জেলা নেতৃত্বের তরফে প্রার্থীদের সুপারিশপত্র এসে পৌঁছয়। তার পর ভাবনা-চিন্তা করে প্রার্থী চূড়ান্ত করেন নেতৃত্ব। এ ক্ষেত্রে জেলার তরফে সুপারিশপত্র এলেও, মানুষের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। ভারতে এই প্রথম বার গ্রামের মানুষই পঞ্চায়েতে প্রার্থী ঠিক করবেন বলেও জানান অভিষেক।
এর আগে, ২০১৮-র পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিস্তর ঝামেলা, অশান্তির খবর সামনে আসে। এ বারে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে, অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট করতে আহ্বান জানিয়েছেন অভিষেক। বিরোধীরা প্রার্থী দিতে না পারলে, তিনি ব্যবস্থা করে দেবেন, এমনও জানিয়েছেন। কিন্তু গ্রামের মানুষ যদি CPM, BJP বা কংগ্রেস করা নেতাকে বেছে নেন প্রার্থী হিসেবে! অভিষেকের সাফ জবাব, যে দলেরই হোন না কেন, মানুষ পছন্দ করলে নিজে গিয়ে কথা বলবেন তিনি।
অভিষেক জানিয়েছেন, আগামী ২৫ এপ্রিল দিনহাটা থেকে কর্মসূচি শুরু হবে। ২৪ জুন শেষ হবে সাগরে। দু'মাস টানা রাস্তায় থাকবেন তাঁরা। কলকাতায় ফিরবেন না। গোপন ব্যালটে প্রার্থীর নাম লিখেও মতামত জানাতে পারবেন গ্রাম বাংলার মানুষ। তা স্থানীয় নেতারা ঘুণাক্ষরেও জানতে পারবেন না। জমসংযোগ কর্মসূচিতে সমাজের গণ্যমান্যদেরও ডাকবেন বলে জানান অভিষেক।
সেরা শিরোনাম
