Adenovirus Circular : হাসপাতালে পর্যাপ্ত অক্সিজেন, ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থা রাখুন, স্বাস্থ্য ভবনের নতুন নির্দেশিকা
West Bengal Adenovirus Circular : শিশুবিভাগে পর্যাপ্ত বেড রাখতে হবে', 'শিশু বিভাগ না থাকলে তৈরি করতে হবে' , শ্বাসকষ্টজনিত কারণে মৃত্যু ঠেকাতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ।
কলকাতা : অ্যাডিনো ভাইরাস (AdenoVirus) ও শিশুদের শ্বাসকষ্টজনিত অসুখ মোকাবিলায় স্বাস্থ্য ভবনের (Swastha Bhavan) নতুন নির্দেশিকা জারি হল এবার। শ্বাসকষ্টজনিত কারণে মৃত্যু ঠেকাতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নয়া নির্দেশিকায় বলে হয়েছে, 'হাসপাতালে পর্যাপ্ত অক্সিজেনের (Oxygen System) ব্যবস্থা রাখতে হবে। শিশুদের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক ভেন্টিলেটর (Ventiletor) প্রস্তুত রাখতে হবে। শিশুবিভাগে পর্যাপ্ত বেড রাখতে হবে। শিশু বিভাগ না থাকলে তৈরি করতে হবে'।
ইতিমধ্যেই অ্যাাডিনো সংক্রমণ মোকাবিলায় নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। সেই গাইডলাইনে বলা হয়েছে, শিশুর শ্বাস-প্রশ্বাসে অস্বস্তি থাকলে নিতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ। খাওয়াদাওয়া বা প্রস্রাবের পরিমাণ কমে গেলেও যেতে হবে চিকিৎসকের কাছে। জ্বর-সর্দি থাকলে, শিশুদের স্কুলে না পাঠানোরও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকায়। ৩ থেকে ৫ দিন টানা জ্বর থাকলে বা রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ৯২ শতাংশের কম থাকলে শিশুদের ভর্তি করতে হবে হাসপাতালে।
ক্রমশ এ রাজ্যে আতঙ্কের আরেক নাম হয়ে উঠছে অ্যাডিনো ভাইরাস। ভয়াবহ আকার নিচ্ছে ভাইরাসের সংক্রমণ। হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। উদ্বেগ বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে, নাইসেড-এর রিপোর্ট। যেখানে বলা হয়েছে, গত দেড়মাসে স্বাস্থ্য দফতরের পাঠানো ৫০০-রও বেশি নমুনার মধ্যে ৩২ শতাংশই অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত। রাজ্যে অ্যাডিনো ভাইরাস যে কতটা ভয়াবহ আকার নিচ্ছে, এবার তার প্রমাণ মিলল বিভিন্ন হাসপাতালের রিপোর্টে। স্বাস্থ্য দফতরকে পাঠানো রিপোর্টে, বিসি রায় শিশু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পয়লা জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত, সেখানে অ্যাডিনো ভাইরাস ও শ্বাসকষ্টে মৃত্যু হয়েছে ৫ শিশুর।
চিকিৎসকরা বলছেন, এই ভাইরাসে মূলত আক্রান্ত হচ্ছে ১ থেকে ৪ বছর বয়সী শিশুরা। উপসর্গ মূলত ফ্লু-এর মতো- গলা ব্যথা, ফুসফুসে সংক্রমণ, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, ডায়েরিয়া, বমি, পেট ব্যথা, মূল সমস্যা শ্বাসকষ্ট। রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ ও জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে যে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে- হাসপাতালে রোজ কত শিশু আসছে, তাদের কতজনকে ভর্তি করতে হচ্ছে, সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট দিতে হবে। হাসপাতালে শিশুদের ভর্তি করার পর কী ওষুধ দিতে হবে, কোন পরিস্থিতিতে কী পরিমাণ ওষুধ দিতে হবে তাও উল্লেখ করা হয়েছে নির্দেশিকায়। জেলার শিশু হাসপাতালগুলিকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। অক্সিজেন ও ভেন্টিলেটর পরিকাঠামো যেন ঠিক ঠাক থাকে, তাও দেখতে বলা হয়েছে।
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )