Coocbehar: তুফানগঞ্জ শহরের মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে ভেজাল সামগ্রী উদ্ধার
Adulterated Ingredients Recovered At Tufanganj: তুফানগঞ্জ শহরের এক মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে ভেজাল সামগ্রী উদ্ধার হল। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ২৭ লক্ষ টাকা।
শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: তুফানগঞ্জ (Tufanganj) শহরের এক মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীর (Sweet Trader) বাড়ি থেকে ভেজাল সামগ্রী (Adulterated Material) উদ্ধার হল। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ২৭ লক্ষ টাকা।
কী জানা গেল?
বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন নামী সংস্থার থেকে অ্যান্টি-পাইরেসি উইংসের কাছে অভিযোগ গিয়েছিল। তার ভিত্তিতেই গত শুক্রবার তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ ও জেলা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকেই চা পাতা, তেল, ও প্রচুর পরিমাণে তেলের খালি কৌটো উদ্ধার হয়েছে। অভিযুক্তের অবশ্য দাবি, দিন তিনেক আগেই ডিস্ট্রিবিউটর-শিপের কথা বলে এক ব্যক্তি তাঁর বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন। তা হলে সেখানে ভেজাল সামগ্রী এল কী ভাবে? উত্তর খুঁজছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, নকল সামগ্রী উদ্ধারের ঘটনা এটিই প্রথম নয়। গত বছর মার্চে নকল প্রসাধনী উদ্ধারের ঘটনায় হইচই পড় যায় এলাকায়।
আগেও যা ঘটেছিল...
সে বার দত্তপুকুরে নামী সংস্থার মোড়কের আড়ালে নকল প্রসাধন সামগ্রীর গোডাউনের হদিশ মেলে। তল্লাশি চালিয়ে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল বারাসাত পুলিশ জেলার এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। কবে থেকে চলছে এই কারবার? ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করে পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, দত্তপুকুরের স্টেশন রোডের সৃজনীপল্লির এই গোডাউনে তল্লাশি চালায় পুলিশ। হাতেনাতে পাকড়াও করা হয় কাজল মল্লিক নামে এক ব্যক্তিকে। উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ ভেজাল প্রসাধন সামগ্রী। নামী সংস্থার লেবেল ও নগদ প্রায় ৫০ হাজার টাকা। যে বাড়ি ভাড়া নিয়ে চলত এই গুদাম, তার মালিকের দাবি এসবের কিছুই জানতেন না তিনি। দত্তপুকুর ১ নম্বর পঞ্চায়েত প্রধানদেবযানী সরকারের কথায়, এবার থেকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। জানতামই না এসব চলত। ধৃতের আরেক সহযোগী মহম্মদ সাদিকের খোঁজ চালায় পুলিশ। এই ঘটনায় আগেই মিনাখাঁয় বাইক পাচার চক্রের হদিশ মেলে। সেই চক্রের দুই পান্ডাকে গ্রেফতারও করা হয়। ধৃতদের থেকে উদ্ধার করা হয় ১০টি চোরাই বাইক। ধৃত ২ জনকে জেরা করে তদন্ত চালিয়ে বড়সড় বাইক চুরির চক্রের সন্ধান পায় মিনাখাঁ থানার পুলিশ। ধৃতদের জিঞ্জাসাবাদ করে ইতিমধ্যে পুলিশ ১০টি চোরাই বাইক উদ্ধার করে। অন্যদিকে আঙুলের ছাপ নিয়ে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলে নেওয়ার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ওঠে বর্ধমানের মিডভিউ নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় নার্সিংহোমে হানা দেয় পুলিশ। পুলিশ সূত্রে দাবি, নার্সিংহোমে ১২৩টি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড উদ্ধার হয়। তার মধ্যে, নার্সিংহোমে ৪২জন রোগীকে পাওয়া গেলেও, ৮১ জন উপভোক্তার হদিশ মেলেনি।
আরও পড়ুন:অর্পিতার পর হৈমন্তী, নিয়োগ দুর্নীতির কেন্দ্রে দুই নারী , দুজনের কী মিল ! দেখুন