Jaldapara Rhino Census: ছাড়াল তিনশোর গণ্ডি, এক-শৃঙ্গ গণ্ডারের সংখ্যা বৃদ্ধি জলদাপাড়ায়
চলতি মাসের ৩ মার্চ থেকে ৬-ই মার্চ পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন গন্ডার আবাসস্থলের পাশাপাশি জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানেও হয়েছিল এক শৃঙ্গ গন্ডার সুমারি।

অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: গণ্ডার সুমারিতে এক-শৃঙ্গ গণ্ডারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেল জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে (Jaldapara Rhino Census)। ৩৯টি থেকে বেড়ে জলদাপাড়ায় মোট এক-শৃঙ্গ গণ্ডারের সংখ্যা দাঁড়াল ৩৩১টি। খুশি জলদাপাড়া কর্তৃপক্ষ। চোরাশিকারি বন্ধ করতে সক্ষম হওয়ায় এই সাফল্য বলে দাবি জলদাপাড়ার DFO পারভীন কাসওয়ানের।
এক-শৃঙ্গ গণ্ডারের সংখ্যা বৃদ্ধি: চলতি মাসের ৩ মার্চ থেকে ৬-ই মার্চ পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন গন্ডার আবাসস্থলের পাশাপাশি জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানেও হয়েছিল এক শৃঙ্গ গন্ডার সুমারি। বনকর্মী ও এনজিও সদস্যের মোট প্রায় ৪০০ জন্য সদস্য ১৯৩টি দলে বিভক্ত হয়ে করেছিল এই সুমারির কাজ। জানা যায় "টোটাল কাউন্ট ম্যাথোড" অনুসরণ করা চলছে এই সুমারি। অর্থাৎ প্রত্যেকটি গন্ডারকে আলাদা আলাদা চিহ্নিত করে তার অবস্থান, বয়স, লিঙ্গ নির্ধারণ করে জিপিএস পদ্ধতি ব্যাবহার করা হয়েছে। জলদাপাড়া বনাঞ্চলকে ৬৫টি ব্লকে বিভক্ত করা হয়। এছাড়াও ছিল ১১০ টি নির্দিষ্ট পয়েন্ট। যার মধ্যে আরও ভাল পর্যবেক্ষণের জন্য ২১টি ওয়াচ টাওয়ারের অবস্থান ব্যাবহার করা হয়। পর্যবেক্ষণের জন্য ৭০টি প্রশিক্ষিত হাতি মোতায়েন করা হয়। ব্যবহার হয় ড্রোনও।
জানা যায়, সুমারির লক্ষ্য হল ভারতীয় এক-শৃঙ্গ গণ্ডারের (Rhinoceros unicornis) জনসংখ্যার অবস্থান, স্বাস্থ্য এবং বাসস্থানের মূল্যায়ন করা। জলদাপাড়ায় গন্ডারের সংখ্যা গত কয়েক দশক ধরেই বৃদ্ধি পেয়ে এসেছে। সেই প্রবণতার ধারাবাহিকতা এবারেও লক্ষ পাওয়া গেছে বলে বন দফতরের দাবি। বন দফতর সূত্রে খবর, ১৯৮৫ সালে জলদাপাড়ায় গন্ডারের সংখ্যা ছিল ১৪টা। সেই সংখ্যা ২০২২ সালে ছিল ২৯২টি। এবার সেই সংখ্যার সাথে আরো ৩৯ টি যুক্ত হওয়ায় সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৩১ টি। যার মধ্যে প্রায় ৬১ টি শাবক রয়েছে বলে জানিয়েছে বন দফতর। পাশাপাশি ২০২২ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত গন্ডার জনসংখ্যার বার্ষিক বৃদ্ধির হার প্রায় ৪.২৭ শতাংশ। যা পৃথিবীর যে কোনও আবাসস্থলের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন জলদাপাড়া কর্তৃপক্ষ।
তবে এই সফলতার পেছনে চোরাশিকারি বন্ধ করতে সক্ষম হওয়াকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন জলদাপাড়ার DFO পারভীন কাসওয়ান। স্থানীয় মানুষ, স্ট্যাগ-হোল্ডার এবং নিচু তলার কর্মীদের পরিশ্রম অত্যন্ত সাহা্য্য করেছে বলে মনে করেন তিনি। পাশাপাশি চোরাশিকারিদের চিহ্নিত করে তাদের উপর নজরদারির চালানো হয়েছে। গত এক বছরে আইনের মাধ্যমে প্রায় ১৯টি চোরাশিকারির ঘটনার শাস্তি দেওয়া সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করেন জলদাপাড়ার DFO।






















