Ration Agitation: রেশন দোকানে গেলেই 'ডিউ স্লিপ'! ক্ষোভ কালচিনির মধু চা বাগানে
Kalchini News: এখানে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে রেশন বণ্টন করা হয়। চা বাগান শ্রমিকদের অভিযোগ, বেশ কয়েকমাস ধরে রেশন পরিষেবা অনিয়মিত।
অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: অনিয়মিত রেশন পাচ্ছেন আলিপুরদুয়ারের কালচিনির (Kalchini Madhu Tea Garden) একটি চা বাগানের বাসিন্দারা। এর জন্য রেশন ডিলারের দিকে আঙুল তুলেছেন তাঁরা। অভিযোগ পেয়ে ডিলারকে সতর্ক করেন তৃণমূল ব্লক সভাপতি। শাসকদলের নাটক বলে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি বিধায়ক।
এবার রেশন বণ্টন নিয়ে ক্ষোভ ছড়াল চা বাগান (Ration Agitaion in Tea Garden) এলাকায়। ক্ষোভ সামলাতে এলাকায় গিয়ে রেশন ডিলারকে (Ration Dealer) সতর্ক করলেন তৃণমূল ব্লক সভাপতি। ঘটনাস্থল আলিপুরদুয়ারের কালচিনির ব্লকের মধু চা বাগান। রবিবার ওই বাগানে উত্তেজনা ছড়ায়।
এখানে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে রেশন বণ্টন করা হয়। চা বাগান শ্রমিকদের অভিযোগ, বেশ কয়েকমাস ধরে রেশন পরিষেবা অনিয়মিত।
রেশন নিতে গেলে হাতে ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে ডিউ স্লিপ। কালচিনির মধু চা বাগানের শ্রমিক রানি মুণ্ডা বলেন, 'রেশন কিচ্ছু পাই না। চাল-আটা কিছুই নয়। প্রত্যেক মাসে এমনটা হচ্ছে। একদিন দেবে, তাও অর্ধেক রেশন দেয়।'
এই নিয়ে সাফাই দিয়েছেন রেশন ডিলার। কালচিনির মধু চা বাগানের রেশন ডিলার আরতি বিশ্বকর্মা বলেন, 'আমার এখানে এক হাজার পরিবার আছে। একই দিনে এক হাজার পরিবারকে চাল-আটা দেওয়া তো আমার পক্ষে সম্ভব নয়। একদিনে আমি ২০০ বা ৩০০ লোককে রেশন দিই। ওই জন্য কেউ কেউ ঘুরে চলে যায়।'
অভিযোগ পেয়ে এদিন রেশন ডিলারের কাছে যান কালচিনির তৃণমূল (Kalchini TMC Leader) ব্লক সভাপতি অসীম লামা। রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ স্বীকার করেছেন তিনি। অসীম লামা বলেন, 'ওখানকার যে ডিলার, যে সেলফ হেল্প গ্রুপ তারা নিয়মিত রেশন দেয় না। চাল দেয় তো গম দেয় না, গম দেয় তো চাল দেয় না। বহুদিন ধরে চলছে এটা। আমি গিয়ে তাদের সেলফ হেল্প গ্রুপের যে লিডার, তাদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। তাদের আমি ওয়ার্নিং করেছি। আগামীদিনে যদি এ রকম অভিযোগ আসে, তাহলে ওর কিন্তু ডিলারশিপটা খারিজ করে দেব।'
বাবল করা আছে--
এই নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করেছে বিজেপি। কালচিনির বিজেপি বিধায়ক বিশাল লামা বলেন, 'রেশনে এরা যে ঘটনা করছে না। দুর্নীতি করছে না বাধ্য হয়ে লোক অনাহারে মারছে। এখন টিএমসি নাটক করলে তো হবে না। নাটক করে ওরা নিজেদের পকেট ভরছে।'
আলিপুরদুয়ার জেলার খাদ্য নিয়ামক জানিয়েছেন, নজরদারি জারি রয়েছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।