Murshidabad News: শিক্ষাঙ্গনে শাসক নেতার তাণ্ডব, পা ভাঙল প্রধান শিক্ষকের
West Bengal News: সূত্রের খবর, শুক্রবার দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ শিক্ষকদের রুটিন তৈরি নিয়ে স্কুলের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠক চলছিল।

রাজীব চৌধুরী, ফারাক্কা: ক্লাসের রুটিন তৈরি নিয়ে বৈঠকে তৃণমূল নেতা ও সহকর্মীদের মারধরে পা ভাঙল প্রধান শিক্ষকের। এমনই অভিযোগ উঠেছে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা হাইস্কুলে। এই ঘটনায় এক শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে ফরাক্কা থানার পুলিশ। স্কুলের মধ্যে শিক্ষকদের নিরাপত্তা নিয়ে সরব হয়েছে এবিটিএ।
পা ভাঙল প্রধান শিক্ষকের: সূত্রের খবর, শুক্রবার দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ শিক্ষকদের রুটিন তৈরি নিয়ে স্কুলের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠক চলছিল। সেই সময় রুটিন নিয়ে ৩-৪জন সহকারী শিক্ষক আপত্তি জানান। প্রধান শিক্ষক -মণিরুল ইসলামের সঙ্গে তর্কাতর্কি শুরু হয়। অভিযোগ, এরপরই শুরু হয় মারধর। স্কুল ঘরে থাকা লোহার রড দিয়ে মারধর করা হয় প্রধান শিক্ষককে। ভেঙে যায় তাঁর পা। আঘাত লাগে চোখে। ফরাক্কা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী। ঘটনায় স্কুলের সহকারী শিক্ষক ও পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির রাজ্য কমিটির সদস্য তারিফ হোসেন, স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি-সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে FIR করা হয়েছে। যদিও অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন তারিফ হোসেন। তাঁর দাবি, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধেই অনেক অভিযোগ রয়েছে। সেগুলো ধামাচাপা দিতেই পাল্টা মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে ভর্তি রয়েছেন আক্রান্ত প্রধান শিক্ষক। অভিযুক্ত শিক্ষক সুজন স্বর্ণকারকে গ্রেফতার করেছে ফরাক্কা থানার পুলিশ।
অন্যদিকে, অশান্তির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিয়ে পদত্যাগ করেছেন বলে দাবি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অরুণময় দাস। তিনি বলেন, "এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। দীর্ঘদিন ধরে গ্রুপ অফ টিচার ভার্সেস প্রধান শিক্ষক বিবাদ চলছে। আমি বেশ কয়েকবার বসেছি ম্যারাথন বৈঠক করেছি, সমস্ত শিক্ষকদের নিয়ে চার ঘণ্টা পাঁচ ঘণ্টা। কিন্তু কেউ শুনছে না। সবাই নিজের অবস্থানে অনড়। এই লড়াই চলছে। আমার মনে হয় যে, আমি পারছি না। আমি এই জায়গায় যোগ্য লোক নই। যার জন্য আমি বেরিয়ে আসতে চাইছি। আমার পদত্যাগ পত্র বিধায়ক সাহেবের কাছে দিয়ে এসেছি।''
ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে এবিটিএ। জেলা সভাপতি জুলফিকর আলি বলেন, "এটা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ঘটনা। তৃণমূলের শিক্ষক সেলের নেতা, তাঁর ঔদ্ধত্য, অহংকার এবং ভড়ত্বের কারণে প্রধান শিক্ষককে মারধর করেছেন। এই শিক্ষক এবং প্রধান শিক্ষকদের মধ্যে যে নৈরাজ্য তৈরি হচ্ছে একটা খারাপ সম্পর্ক তৈরি হচ্ছে এই সরকারের সময়ে এটা ব্যাপকভাবে হচ্ছে। সবকিছু দখলদারিত্বের একটা ফসল বলে মনে হচ্ছে।''
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
