Adenovirus : 'উত্তরবঙ্গের শিশুদের প্রাণের কি কোন দাম নেই ?', মুখ্যমন্ত্রীকে ট্যাগ করে পোস্ট শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়কের
Adenovirus Siliguri : বিজেপি বিধায়কের প্রশ্ন, উত্তরবঙ্গে সংক্রমণ শুরু হলে তার প্রস্তুতি কোথায়?
সনৎ ঝা, শিলিগুড়ি: অ্যাডিনো ভাইরাস ( Adenovirus ) নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রীকে ( Mamata Banerjee ) আক্রমণ শিলিগুড়ির বিজেপি ( BJP ) বিধায়ক।
শঙ্কর ঘোষ ( Shankar Ghosh ) লেখেন, ' উত্তরবঙ্গের শিশুদের প্রাণের কি কোনও দাম নেই? কলকাতায় যখন অ্যাডিনো ভাইরাস নিয়ে সরকারি তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, সেই তৎপরতা উত্তরবঙ্গে কোথায়? অবিলম্বে এ ব্যাপারে সরকারকে উদ্যোগ নিতে অনুরোধ করছি। '
এদিন শিলিগুড়ি সদর হাসপাতাল পরিদর্শনে যান বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। সুপারের সঙ্গে বৈঠক করেন। বিজেপি বিধায়কের প্রশ্ন, উত্তরবঙ্গে সংক্রমণ শুরু হলে তার প্রস্তুতি কোথায়? কলকাতার মতো কেন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, সেই প্রশ্নও তোলেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক। অ্য়াডিনো-চিকিৎসার পরিকাঠামো না থাকার কথা স্বীকার করেছেন হাসপাতালের সুপার।
উত্তরবঙ্গের শিশুদের প্রাণের কি কোন দাম নেই ?
— Dr. Shankar Ghosh (@ShankarGhoshBJP) February 28, 2023
কলকাতায় যখন অ্যাডিনো ভাইরাস নিয়ে সরকারি তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, সেই তৎপরতা উত্তরবঙ্গের কোথায়?
অবিলম্বে এ ব্যাপারে সরকার উদ্যোগ নিতে অনুরোধ করছি ।@MamataOfficial @SuvenduWB @Amitava_BJP @RajuBistaBJP @BJP4Bengal
রাজ্যজুড়ে থাবা বিস্তার করছে অ্যাডিনোভাইরাস। দিকে দিকে জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে শিশুরা। শ্বাসকষ্টন নিউমোনিয়া ইত্যাদির কারণে প্রাণ যাচ্ছে একের পর এক শিশুর। ভরে গিয়েছে অধিকারংশ হাসপাতালের শিশু-বিভাগের বেড। হাহাকার আইসিইউ-এ। কলকাতায় খারাপ অবস্থা নিয়েও অনেকে হাসপাতালে বেড পাচ্ছে না বলে অভিযোগ । এই পরিস্থিতিতে হাসপাতালগুলিতে সময়োপযোগী পরিকাঠামো গড়ে তুলতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
শিশুদের মধ্যে শ্বাসকষ্ট, সর্দি-কাশি আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায়, অ্যাডভাইসরি জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। ২৪ ঘণ্টার ক্লিনিক চালু করতে বলার পাশাপাশি, হাসপাতালে পৃথক আউটডোর চালু করতে বলা হয়েছে। হাসপাতাল প্রধান বা অধ্যক্ষের অনুমতি ছাড়া করা যাবে না রেফার।
১০ দফা অ্যাডভাইসরি জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। তাতে বলা হয়েছে,
- শ্বাসকষ্ট, সর্দি-কাশি আক্রান্ত শিশুদের জন্য ২৪ ঘণ্টার ক্লিনিক করতে হবে।
- যে যে হাসপাতাল বা মেডিক্যাল কলেজে শিশু বিভাগ আছে, সেখানে আলাদা আউটডোর চালু করতে হবে। যাতে সাধারণ বর্হিবিভাগে এই সব রোগীদের অপেক্ষা করতে না হয়।
- হাসপাতাল প্রধান বা অধ্যক্ষের অনুমতি ছাড়া শ্বাসকষ্ট, সর্দি-কাশি আক্রান্ত শিশুদের রোগীকে রেফার করা যাবে না।
- ভেন্টিলেটর ও অন্য সামগ্রী প্রস্তুত রাখতে হবে।
- হাসপাতাল প্রধান, অধ্যক্ষ বা নার্সিং বিভাগের প্রধানকে নিজেদের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে
-
শিশু বিভাগের সঙ্গে যুক্ত থাকা জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে লাগাতে হবে।
-
শিশুদের জনবহুল এলাকায় না নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
-
বলা হয়েছে মাস্ক ব্যবহার করতে।
-
অ্যাডভাইসরিতে আরও বলা হয়েছে, হাসপাতালগুলিকে নিয়মিত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।