Kolkata School Fee Hike: ফি বৃদ্ধি নিয়ে টানাপোড়েন, সোমবার থেকে খুলছে শহরের তিন স্কুল, তবে শর্তসাপেক্ষে
School Fee Hike: ফি বৃদ্ধি নিয়ে বিগত কয়েক দিন ধরেই অভিভাবকদের সঙ্গে টানাপোড়েন চলছে স্কুল কর্তৃপক্ষের।
কলকাতা: সোমবার খুলতে চলেছে কলকাতার তিন নামী স্কুল (School Fee Hike Row)। ওই দিন থেকে ফের আগের মতো ক্লাস শুরু হবে জিডি বিড়লা (GD Birla School), অশোক হল, মহাদেবী বিড়লা শিশু বিহার স্কুলে। খুলে যাচ্ছে তিন স্কুলের ছ’টি ক্যাম্পাসই। তবে শুধুমাত্র সম্পূর্ণ ফি মিটিয়েছেন যে সমস্ত অভিভাবক, তাঁদের সন্তানরাই স্কুলে ঢুকতে পারবে এবং ক্লাস করতে পারবে। শনিবার নোটিস দিয়ে জানিয়ে দিলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। তবে অভিভাবকরা এই ঘোষণায় চটেছেন। তাঁদের দাবি স্কুল কর্তৃপক্ষ কলকাতা (Kolkata News) হাইকোর্টের রায়কে সম্মান জানায়নি।
বৃহস্পতিবার নোটিস ঝুলিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় স্কুল
ফি বৃদ্ধি নিয়ে বিগত কয়েক দিন ধরেই অভিভাবকদের সঙ্গে টানাপোড়েন চলছে স্কুল কর্তৃপক্ষের। স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন অভিভাবকরা। তার জেরে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি দেখিয়ে বৃহস্পতিবার বন্ধ করে দেওয়া হয় দক্ষিণ কলকাতার রানিকুঠি এলাকায় অবস্থিত জিডি বিড়লা স্কুল। আগে থেকে কিছু জানানো হয়নি, বরং সকালে স্কুলে গিয়ে নোটিস ঝুলতে দেখে স্কুল বন্ধের কথা জানতে পারেন বলে বলে অভিযোগ করেন অভিভাবকরা। এর পর একে একে অশোক হল, মহাদেবী বিড়লার ফটকেও তালা ঝোলানো হয়।
আরও পড়ুন: India Covid: গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন কোভিড আক্রান্ত ১১৫০, অ্যাক্টিভ কেস ১২ হাজারেরও কম
পর পর শহরের নামী স্কুলগুলি এ ভাবে দরজা বন্ধ করে দেওয়ায় বিপাকে পড়ে পড়ুয়ারা। আগে থএকে কিছু না জানানোয় স্কুলের ফটকের সামনে থেকে বাড়ি ফিরে যেতে হয় বলে জানান অভিভাবকরা। স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁদের একাংশ। কেউ কেউ বলেন, “৭ তারিখ থেকে বন্ধ। আমরা তো ফিজ মিটিয়ে রেখেছি। তা সত্ত্বেও কেন ক্লাস বন্ধ করা হল!” কেউ কেউ আবার স্কুল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন। বলেন, “শিক্ষার অধিকার থেকে কেন বঞ্চিত হতে হবে? অনেকের নানা সমস্যা থাকে। স্কুল কর্তৃপক্ষের উচিত তাঁদের সঙ্গে কথা বলা।”
ফি বৃদ্ধি নিয়ে টানাপোড়েন
উল্লেখ্য, রাজ্যের কোনও বেসরকারি স্কুল কোনও পড়ুয়াদের উত্তীর্ণ হওয়া আটকাতে পারবে না। আটকে রাখা যাবে না মার্কশিটও। স্কুল ফি নিয়ে মামলার শুনানির পর সম্প্রতি এইমন নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট(Calcutta High Court)। বিচারপতি বলেন, "স্কুল হচ্ছে মন্দির, সেখানে এরকম হলে কিছু বলার নেই। আদালতের পক্ষে কি সব সময় নজর রাখা সম্ভব?" তার পরই এ দিন নোটিস ঝুলিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হল জিডি বিড়লা স্কুল।