Amit Shah: 'সীমান্তে BSF আছে বলেই সুরক্ষিত দেশ', বঙ্গ সফরে এসে প্রশংসা অমিত শাহের
Amit Shah On BSF: ইডি-র চার্জশিটে বিএসএফ, চুপ কেন শাহ ? প্রশ্ন তুলেছেন কুণাল ঘোষ, কী বললেন অমিত শাহ ?
কলকাতা: বিএসএফের ( BSF ) যোগসাজশেই গরুপাচার করা হত। গরুপাচার মামলায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ( Home Ministry ) অধীনের থাকা বিএসএফের বিরুদ্ধে সম্প্রতি এই চাঞ্চল্যকর দাবি তুলেছে কেন্দ্রীয় সরকারের আরেকটি সংস্থা ইডি ( ED )। যা নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন কুণাল ঘোষ। ইডি-র চার্জশিটে বিএসএফ, চুপ কেন শাহ ? যদিও এদিন বিএসএফ নিয়ে শেষঅবধি মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তবে শাহ-র গলায় এল প্রশংসার সুর। অমিত শাহ এদিন বলেন, 'সীমান্তে বিএসএফ আছে বলেই সবাই নিশ্চিন্তে রয়েছে। সুরক্ষিত রয়েছে দেশ।'
রবীন্দ্র জয়ন্তীতে কলকাতায় অমিত শাহ। গতকাল কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের শেষ প্রচার সেরে রাতে কলকাতায় আসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আজ তাঁর একাধিক অরাজনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে। জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়ি ঘুরে দেখলেন অমিত শাহ। গেলেন ঠাকুরবাড়ির বিভিন্ন অংশে। দেখলেন রবীন্দ্রনাথের জন্মস্থান। বনগাঁর পেট্রাপোল সীমান্তে BSF-এর অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন অমিত শাহ। সন্ধেয় সায়েন্স সিটিতে রবীন্দ্র জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আজ রাতেই দিল্লি ফিরছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি চার্জশিটে বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করে ইডি দাবি করে, গরুবোঝাই ট্রাকগুলিকে একটি টোকেন দেওয়া হত। একটি সিন্ডিকেট ছিল, যারা এই টোকেন দিত। কোথাও ট্রাক আটকালে, সেই টোকেন দেখালেই সীমান্তে যাওয়ার সবুজ সংকেত মিলত। সূত্রের খবর, চার্জশিটে ইডি দাবি করে, রাত ১১টা থেকে ৩টের এই ৪ ঘণ্টার মধ্যেই বাংলাদেশে গরুপাচার হত। আর এতে প্রত্যক্ষ মদত বিএসএফের একাংশ। এরজন্য মোটা অঙ্কের টাকা পৌঁছত বিএসএফের একাংশের কাছে। মুর্শিদাবাদ সীমান্তে বেশ কয়েকটি জায়গা ঠিক করা ছিল। যেখান দিয়ে নদী পথে বাংলাদেশে গরু পাচার হত। এই মর্মে বিএসএফ আধিকারিকদের সঙ্গে আগে থেকেই কথা হয়ে থাকত এনামুল হকের।
আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?
আরও পড়ুন, গরমে কোন সরবতগুলি না খেলেই নয় ? কোনগুলি খুবই স্বাস্থ্যকর ?
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কীভাবে গরুপাচার করা হত ? তা বিস্তারিত নিজেদের চার্জশিটে দাবি করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বলা হয়েছে, বাংলাদেশে পাচারের জন্য বীরভূম থেকে গরু গুলিকে ট্রাকে তুলে, তা মুর্শিদাবাদ জেলার ওমরপুরে পাঠানোর দায়িত্ব ছিল এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত আব্দুল লতিফের ওপর। ইডির চার্জশিটে দাবি,পাচারের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া গরুবোঝাই ট্রাকের চালকদের কাছে একটি নির্দিষ্ট টোকেন দেওয়া থাকত। রাস্তায় পুলিশ প্রশাসনের তরফে চেকিং হলে সেইসময় সেই টোকেন দেখালেই ছেড়ে দেওয়া হত ট্রাকগুলিকে। ফলে সেফ প্যাসেজের মধ্যে দিয়ে গরুবোঝাই শয়ে শয়ে ট্রাক পৌঁছে যেত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে।আর এখানেই অনুব্রত মণ্ডলের ভূমিকা ছিল বলে এর আগে একাধিকবার দাবি করেছি সিবিআই ও ইডি।