(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Jalpaiguri: বন দফতরের ফাঁদে বন্দি পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘ, পাঠানো হল লাটাগুড়ি প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে
Jalpaiguri: বেশ কিছুদিন ধরেই চা বাগানে ঘোরাফেরা করছিল ৬টি চিতাবাঘ। তার মধ্যে বন দফতরের পাতা ফাঁদে বন্দি হল একটা পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘ।
রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: অবশেষে ফাঁদে পা দিল চিতাবাঘ। জলপাইগুড়ির চা বাগানে বন দফতরের পাতা খাঁচায় ধরা পড়ল একটি পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘ। বানারহাটের গেন্দ্রাপাড়া চা বাগানের শ্রমিকদের দাবি, কিছুদিন আগেই ওই চা বাগানে প্রায় ৬টি চিতাবাঘকে ঘোরাফেরা করতে দেখেন তাঁরা। এরপরেই স্বভাবতই আতঙ্ক ছড়ায় গোটা বাগানজুড়ে।
এরপর বিন্নাগুড়ির ওই চা বাগান কর্তৃপক্ষের অনুরোধে বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণী স্কোয়াডের কাছে বাঘ ধরতে খাঁচা পাতার আবেদন করা হয়। বন দফতরের তরফে বিন্নাগুড়ি চা বাগানের ২০ নম্বর সেকশনে এরপর ছাগলের টোপ দিয়ে খাঁচা পাতা হয়। সেই ফাঁদেই শনিবার গভীর রাতে ধরা পড়ে একটি পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী চিতা বাঘ। রাত্রিবেলা চা বাগানের শ্রমিকরা চিতা বাঘের হুঙ্কার শুনতে পান। এরপর তাঁরা বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানান। পরবর্তীকালে খাঁচার কাছে গিয়ে দেখা যায়, তাতে ধরা পড়েছে পূর্ণবয়স্ক বাঘটি। তাকে উদ্ধার করে ভোররাতে লাটাগুড়ি প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। যদিও বাগানে এখনও বেশ কয়েকটি চিতাবাঘ রয়েছে বলে কাজে যেতে ভয় পাচ্ছেন চা বাগান শ্রমিকরা। তবে গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বন দফতর।
কিছুদিন আগেই এক চিতাবাঘকে ঘিরে আতঙ্ক ছড়ায় জলপাইগুড়ির বানারহাট থানার ওই চা বাগানে। বুধবার সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে সাতটা নাগাদ গেন্দ্রাপাড়া চা বাগানে একটি চিতাবাঘকে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। গাড়ির হেডলাইটে চিতাবাঘটিকে দেখে সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করেন বাগানের লেবার ওয়েলফেয়ার অফিসার বিশু দাস। শ্রমিক মহল্লায় খুব কাছাকাছি একটি চিতাবাঘকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায় বানারহাটের গেন্দ্রাপাড়া চা বাগানে। জায়গাটি ছিল শ্রমিক মহল্লার কাছাকাছি এবং ম্যানেজারের বাংলো সংলগ্ন। বাগান কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, সেই সময়েও বাগানে একটি নয়, তিনটি চিতাবাঘ ঘোরাফেরা করছিল। তার আগের দু-তিন দিন ধরেই তাদের দেখা যাচ্ছিল বাগানে। খবর পেয়ে বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ডলাইফ রেঞ্জের কর্মীরা বাগানে ছুটে এসে পটকা ফাটিয়ে চিতাবাঘ তাড়ানোর চেষ্টা করেন। সেবারেও বাগানে খাঁচা পাতার আবেদন জানায় বাগান কর্তৃপক্ষ।