Anubrat Mondal Audio Controversy: বোলপুরের IC-র ফোন বাজেয়াপ্ত হলেও অনুব্রতর নয়, নেপথ্যে কী কারণ?
Anubrata Mondal: ৫ দিনের বেড রেস্ট শেষ। জোড়া তলব অগ্রাহ্যের পর অবশেষে হাজিরা দিলেন কেষ্ট। সংবাদমাধ্যমকে এড়িয়ে SDPO অফিসে পিছনে পুলিশ লাইনের গেট দিয়ে প্রবেশ করেন তিনি।

কলকাতা: বোলপুরের IC-কে কদর্য আক্রমণের ৭ দিন পর হাজিরা দিলেন অনুব্রত মণ্ডল। কুকথাকাণ্ডে কেষ্টকে এদিন SDPO অফিসে ২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। যাঁকে হুমকি দিয়েছেন বলে অডিও প্রকাশ্যে এসেছে সেই IC-র ফোন বাজেয়াপ্ত করা হলেও, কেষ্টর ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়নি। এমনটাই খবর সূত্রের।
বোলপুরের IC লিটন হালদারকে কুকথা কাণ্ডে তোলপাড় রাজ্য। রীতিমতো তাঁর মা-বউয়ের প্রসঙ্গ তুলে নোংরা কথা এবং গালিগালাজ দিতে শোনা যায় তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে। এই ঘটনায় যিনি অভিযোগকারী সেই লিটন হালদারের দুটি ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল, যিনি পুলিশ অফিসারকে ফোন করে কদর্য ভাষায় কথা বলেছেন তাঁর ফোনও বাজেয়াপ্ত করা হবে। কিন্তু পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে যে তাঁর ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়নি। পুলিশের বক্তব্য অনুব্রত মণ্ডলের যে কল রেকর্ড ডিটেলস সেখান থেকেই পাওয়া যাবে তিনি ফোন করেছিলেন কিনা। অনুব্রত মণ্ডল ফোন কথার বলার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তাই বাজেয়াপ্ত করা হয়নি। কিন্তু পরে যদি দেখা যায় তিনি যা বলছেন তার সঙ্গে অসঙ্গতি রয়েছে, তখন তাঁর ফোন বাজেয়াপ্ত করা হবে। প্রশ্ন হল, এখন এই ফোন তিনি তাঁর সঙ্গে রাখবেন কিনা? ভবিষ্য়তে ফোন হারিয়ে যেতে পারে, নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাঁর হাতে তথ্যপ্রমাণ থাকলে তিনি তা নষ্ট করে ফেলতে পারেন। পরে যদি তথ্যপ্রমাণ নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে তার দায়িত্ব কে নেবে? পুলিশের এই কাজ এবং তদন্ত প্রক্রিয়া ঘিরে প্রশ্ন উঠছে। বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, যে ফোন থেকে তিনি কথা বলেছেন, সেই ফোন বাজেয়াপ্ত করে ফরেন্সিকের জন্য পাঠানোর কথা। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে তাঁকে কি ছাড় দেওয়া হল?
এখানেই শেষ নয়, IC- সঙ্গে কী কথা হয়েছিল মনেই নেই বলে জিজ্ঞাসাবাদে দাবি করেছেন কেষ্ট। এদিন জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে অনুব্রত মণ্ডল জানিয়েছেন, একজন তৃণমূল সমর্থক মার খেয়েছিল। সেই বিষয় তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে বলেছিল। সেই প্রসঙ্গে কথা বলতে তিনি IC-কে ফোন করেছিলেন। সেই বিষয়ে দুজনের কথা হয়। কোনও গালিগালাজ করেছেন বলে মনে করতে পারছেন, এমনটাই দাবি করেছেন তৃণমূল নেতা। কারণ তিনি অনেক ওষুধ খান এবং কথা বলে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। ফলে বিস্তারিতভাবে মনে নেই, তিনি কী কথা বলেছিলেন।
ফোন বাজেয়াপ্ত না করা প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "না করবে না তো। যে মুখ্যমন্ত্রীর DM, SP, DGP, মুখ্যসচিবকে বসিয়ে বীরভূমে গিয়ে বলেন অনুব্রতর কথায় তোমাদের চলতে হবে। সরাসরি বলেন আমার পার্টির অ্যাসেট। আমি ওঁকে রাজ্যসভায় দিতে চেয়েছিলাম নেয়নি। আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে চেয়ারম্যান করে কী কমিটি করেছে...কিন্তু ফোনটা যাচ্ছে অনুব্রত মণ্ডলের কাছে। স্বাভাবিকভাবেই পুলিশমন্ত্রীর আশীর্বাদ আছে। তাঁর পরামর্শেই অনুব্রত ওখানে গিয়েছেন। তাঁর ফোন বাজেয়াপ্ত করার কোনও ব্যাপার নেই। লিটন হালদারের দুটো ফোন বাজেয়াপ্ত হয়েছে এবং তিনি গ্রেফতারও হবেন।''






















