Anubrata Mandal: এখনই দিল্লি নিয়ে যাওয়া যাবে না, আপাতত নিজভূমেই অনুব্রত
Cattle Smuggling Case: দিল্লিযাত্রা ঠেকাতে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন অনুব্রত।
কলকাতা: দিল্লি হাইকোর্টে স্বস্তি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal)। এখনই দিল্লি যেতে হচ্ছে না বীরভূমের (Birbhum) তৃণমূল সভাপতিকে (TMC)। ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত অনুব্রতর বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করতে পারবে না এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। কারণ ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত শুনানি স্থগিত রেখেছে দিল্লি হাইকোর্ট। পরবর্তী শুনানি ৯ জানুয়ারি হবে বলে জানিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।
দিল্লিযাত্রা ঠেকাতে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন অনুব্রত
দিল্লিযাত্রা ঠেকাতে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন অনুব্রত। দ্বারস্থ হয়েছিলেন দিল্লি হাইকোর্টের। তার শুনানিতে বুধবার আদালতে ইডি জানায়, অনুব্রতর বিরুদ্ধে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট পাওয়া গিয়েছে। বাংলার পুলিশকে এই তথ্য পাঠানোর পরই রাজ্য পুলিশ অনুব্রতকে গ্রেফতার করেছে। তাঁকে সাত দিনের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাতে অনুব্রতর আইনজীবী জানান, অনুব্রত বাংলার পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। তাই এখন ইডি তাঁর বিরুদ্ধে প্রোডাকশন ওয়াররেন্ট কার্যকর করতে পারে না।
গরুপাচার মামলায় গত ১১ অগাস্ট সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়ে বীরভূম ছেড়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তার পর কলকাতায় সিবিআই-এর অফিস এবং আসানসোল জেলে চার মাস কাটিয়ে অবশেষে মঙ্গলবার ফের নিজের জেলায় ফিরেছেন তিনি। কারণ তাঁকে দিল্লি নিয়ে যেতে আদালত থেকে ইডি অনুমোদন আদায় করার পরই, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পুরনো একটি অভিযোগের ভিত্তিতে দায়ের নয়া মামলায় অনুব্রতকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। এই মুহূর্তে বীরভূমের দুবরাজপুর থানার লকআপে রয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: Recruitment Scam : 'সাদা ওএমআর শিটে চাকরি', নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের ইডি-তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
এক বছর আগে অনুব্রতর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ তুলেছিলেন তৃণমূলেরই এক কর্মী শিবঠাকুর মণ্ডল। সোমবার ইডি অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার ছাড়পত্র জোগাড়ের পরই পুরনো অভিযোগে অনুব্রতর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন শিবঠাকুর। তাতেই রাতারাতি অনুব্রতর দিল্লি যাওয়া আটকে যায়।
গরুপাচার মামলায় গত ১১ অগাস্ট সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়ে বীরভূম ছেড়েছিলেন অনুব্রত
সংবাদমাধ্যমে শিবঠাকুর বলেন, "২০১৮-র পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট পাওয়া নিয়ে দলের সঙ্গে সমস্যা হয়। একুশের বিধানসভা ভোটের সময়, বিজেপি-তে যোগ দেব শুনে, দুবরাজপুর পার্টি অফিসে ডেকে পাঠিয়ে অনুব্রত মণ্ডল মারধর করেন। গলা টিপে ধরেন।" এ দিকে, জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ করায় শিবঠাকুরের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল নেতৃত্ব। যদিও, বিজেপি-র গলায় গোটা বিষয়টি নিয়ে শোনা গেছে কটাক্ষের সুর। তাদের দাবি, অনুব্রতর দিল্লি যাওয়া আটকাতেই এই চিত্রনাট্য বোনা হয়েছে।