Recruitment Scam : 'সাদা ওএমআর শিটে চাকরি', নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের ইডি-তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
Enforcement Directorate : গ্রুপ ডি নিয়োগ মামলায় ফের ইডি-তদন্তের কথা বলা হয়েছে
কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam Case) ফের ইডি-তদন্তের (Investigation by Enforcement Directorate) নির্দেশ হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। গ্রুপ ডি নিয়োগ মামলায় ফের ইডি-তদন্তের কথা বলা হয়েছে। লক্ষ্মী টুঙ্গা নামে এক চাকরিপ্রার্থীর মামলায় ইডিকে যুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সাদা ওএমআর শিটে চাকরি। এই ওএমআর শিট বিকৃত করে চাকরির আড়ালে মোটা টাকার লেনদেন হয়েছে। ইডি আজ থেকেই তদন্ত করুক। আজ এমনই মন্তব্য করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
১০০টি ওএমআর শিট পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয় মামলাকারীকে। সেই ওএমআর শিটে দেখা যায়, সর্বোচ্চ নম্বর ৪, বাকিরা কেউ পেয়েছেন শূন্য, কেউ পেয়েছেন ১। অথচ এসএসসি-র সার্ভারে নম্বর দেখানো হয়েছে ৪৩। তাতে বিচারপতি জানতে চান, 'এসএসসি-তে সেই সময় কে ছিলেন চেয়ারম্যান?' উত্তরে আইনজীবী জানান, সুবীরেশ ভট্টাচার্য ছিলেন তৎকালীন চেয়ারম্যান।
'সিবিআইকে কি সুবীরেশ সব বলেছেন ?'-
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানতে চান, 'সিবিআইকে কি সুবীরেশ সব বলেছেন ? যাঁর নির্দেশে করেছেন, তাঁর নাম কি বলেছেন ? অধিকাংশ ওএমআর শিট ফাঁকা। বিশ্বাস করি না টাকা ছাড়া এই ম্যানুপুলেশন সম্ভব। ইডিকে সব মামলায় যুক্ত করব। কোনও ব্যক্তি যেন পালিয়ে না যায়।'
সম্প্রতি প্রাথমিকের TET-এ পরীক্ষার্থীদের OMR শিটের কার্বন কপি দেওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। কিন্তু, ২০১৬ সালের নবম-দশম শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় OMR শিটে নম্বর বিকৃতির মামলায়, দিনকয়েক আগে সেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ই প্রশ্ন তোলেন, পি সি সরকার সিনিয়র না জুনিয়র, কার ছোঁয়ায় নম্বর বৃদ্ধি হয়েছে?
এসএসসিতে নবম-দশমে বেআইনিভাবে নিয়োগ মামলায় OMR শিটে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। কারচুপির সত্যতা যাচাইয়ে ৪০টি OMR শিটের নমুনা নিয়ে বৈঠকও হয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনে। ওই সংক্রান্ত মামলায় গত ৬ ডিসেম্বর, হাইকোর্টে CBI জানিয়েছিল, গাজিয়াবাদের হার্ড ডিস্কে থাকা তথ্য অনুযায়ী ১০ জন ০ পেয়েছেন। কিন্তু স্কুল সার্ভিস কমিশনের সার্ভারে তাঁদের নম্বর হয়ে গেছে ৫৩!
ওই মামলায়, যে ৪০ জন পরীক্ষার্থীর OMR শিটে কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ, তাঁদেরকেও মামলায় যুক্ত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই মতো, শুক্রবার মামলায় যুক্ত হতে আদালতে এসেছিলেন ১২ জন। তাঁদের সামনেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, কোন জাদুকরের ছোঁয়ায় নবম-দশমে শিক্ষক নিয়োগে ৪০টি OMR শিটে নম্বর বিকৃতি হয়েছে? কীভাবে SSC-র সার্ভারে নম্বর বেড়ে গেছে?
১২ জন শিক্ষককে OMR শিট বিকৃতি নিয়ে, ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি।
আরও পড়ুন ; 'কোন জাদুকরের ছোঁয়ায় ওএমআর শিটে নম্বর বিকৃতি?' প্রশ্ন বিচারপতির