Anupam Hazra: 'মাত্র ২ দিন হাজিরা দিয়ে ডক্টরেট ডিগ্রি ছিনিয়ে নিয়েছেন রোম্যান্টিক চোর' অনুপমের নিশানায় পার্থ
Partha Chatterjee: দুর্নীতির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের PhD গাইড অধ্যাপক অনিল ভুঁইমালি।
কলকাতা: এবার বিজেপির নিশানায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ডক্টরেট ডিগ্রি। বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা ট্যুইট করেন, পার্থ ডাকাত। ডাকাতটার PhD গাইড অধ্যাপক অনিল ভুঁইমালি (ভাইস চ্যান্সেলর, রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়) এবং কো-গাইড অধ্যাপক বিপুল মালাকার (যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়)! যেখানে PhD-র কোর্স ওয়ার্কে ৭৫ শতাংশ হাজিরা বাধ্যতামূলক, সেখানে মাত্র ২ দিন হাজিরা দিয়ে ডক্টরেট ডিগ্রি ছিনিয়ে নিয়েছেন রোম্যান্টিক চোর পার্থ! পার্থর PhD গাইড ও কো-গাইডকে অবিলম্বে বরখাস্ত করা দরকার। ট্যুইটে লেখেন অনুপম হাজরা। দুর্নীতির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের PhD গাইড অধ্যাপক অনিল ভুঁইমালি।
#পার্থ_ডাকাত
— Dr. Anupam Hazra 🇮🇳 (@tweetanupam) July 28, 2022
ডাকাত টা'র PhD Guide অধ্যাপক অনিল ভুঁইমালি (Vice-chancellor, Raiganj University) এবং Co-Guide অধ্যাপক বিপুল মালাকার (যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়) !!! pic.twitter.com/Sy7H8PQLTv
শুধু বিরোধীরাই নয়, দলের অন্দরেও হতাশার সুর। 'পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) আমাদের কলিগ, আমরা লজ্জিত। যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) আমরা চিনতাম, এর সঙ্গে তাঁর মিল খুঁজে পাচ্ছি না'। বৃহস্পতিবার পার্থ ইস্যুতে এমনই মন্তব্য করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে কার্যত তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। দুর্নীতির পাহাড় প্রমাণ অভিযোগ সামনে আসতেই গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। গ্রেফতারের কয়েকদিনের মধ্যেই মন্ত্রিত্ব এবং দলীয় পদ দুই-ই হাতছাড়া হয়েছে তাঁর। কী প্রতিক্রিয়া তাঁর সহকর্মীদের। গতকাল পার্থকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি তুলে সরব হয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। আর আজ পার্থকে নিয়ে হতাশার সুর শোনা গেল ফিরহাদ হাকিমের গলায়। পাশাপাশি সহকর্মী হিসেবে লজ্জাও প্রকাশ করলেন ফিরহাদ।
এ দিন সাংবাদিকদের তিনি বলেন, 'এই ঘটনায় আমরা সবাই ব্যথিত। সবার মনের মধ্যেই চাপ পড়েছে। এটা আমরা কেউ আশা করিনি'। পার্থ চট্টোপাধ্যায় আমাদের কলিগ, আমরা লজ্জিত। আমি এখনও আশা করব সঠিক তদন্ত হবে এবং সত্য সামনে আসবে। যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আমরা চিনতাম, এর সঙ্গে তার মিল খুঁজে পাচ্ছি না।