আসানসোলের অভিজাত হোটেলে হানা দিয়ে ১৮ জন জুয়াড়িকে গ্রেফতার পুলিশের
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হোটেলে অভিযান চালায়। হাতেনাতে ধরা পড়ে ১৮ জন। উদ্ধার হয় এক লক্ষ পাঁচ হাজার টাকা।
কৌশিক গাঁতাইত, আসানসোল: আসানসোলের অভিজাত হোটেলে হানা দিয়ে ১৮ জন জুয়াড়িকে গ্রেফতার করল আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হোটেলে অভিযান চালায়। হাতেনাতে ধরা পড়ে ১৮ জন। উদ্ধার হয় এক লক্ষ পাঁচ হাজার টাকা। গতকাল, তাদের আসানসোল আদালতে তোলা হয়। ওই হোটেলের মালিক জানান দুটো ঘর বুক করেছিল অভিযুক্তরা। তাঁর দাবি, কোনও গ্রাহকের ব্যাগ পরীক্ষা করার অধিকার তাদের নেই। আবার ঘরের ভেতর সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোও আইন বিরোধী। তাই ওরা কী করেছে তা তাদের পক্ষে জানা সম্ভব হয়নি বলেই দাবি হোটেল মালিকের।
এদিকে ফের ইসিএলের খনি এলাকায় ধস। ফাটল ধরল রাস্তা, বাড়ির দেওয়াল ও মেঝেতে। আতঙ্কে এলাকাছাড়া প্রায় ১৫টি পরিবার। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের গো ব্যাক স্লোগানের মুখে পড়লেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। শুরু হয় বাদানুবাদ। রবিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের ডামরায় ইসিএলের খনি এলাকায় ধস নামে। মুহূর্তের মধ্যে ফাটল ধরতে শুরু করে রাস্তা ও সংলগ্ন বাড়ি গুলিতে। ঘটনায় তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন অগ্নিমিত্রা। পাল্টা জবাব দিয়েছে শাসকদল। ঘটনায় মুখ খুলতে নারাজ ইসিএল কর্তৃপক্ষ।
ভোরের আলো ফুটতেই, বাড়ি ছেড়ে পালাতে শুরু করেন বাসিন্দারা। পুনর্বাসনের দাবিতে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। ডামরার বাসিন্দা ইন্দ্রজিৎ বাউরির দাবি, একটা ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক। সোমবার ঘটনাস্থলে গেলে বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক। আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, বাম আমলে টাকা পাওয়ার পরও আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ রাজনৈতিক কারণে পুনর্বাসনের কাজ করতে গড়িমসি করছে। তৃণমূলের লোকেরা বিক্ষোভ দেখিয়েছে। তৃণমূল নেতা তথা আসানসোল পুরসভার প্রশাসক অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, উনি রাজনীতিতে নতুন, ইসিএল সম্পর্কে জানেন না, বামফ্রন্ট আমলে টাকা পেলেও জমি নির্ধারমে ইসিএল দেরি করেছে, কিছু কিছু জায়গার মানুষ সুবিধা মতো জায়গায় যেতে চাওয়ায় পুর্নর্বাসনের কাজ বাস্তবায়িত হয়নি। এই ঘটনার জন্য ইসিএল কর্তৃপক্ষকে কাঠগড়ায় তুলেছেন আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র। বিজেপি নেতা তথা ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, ইসিএল দায়ী, কালীপাহাড়ি কোলিয়ারিতে কয়লা উত্তোলনের পর সেখানে ফাঁকা জায়গা বালি ভরিট না করার জন্য ধস নামছে। অবিলম্বে পুনর্বাসনের দাবি। যদিও, এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি ইসিএল কর্তৃপক্ষ।