Akhtar Ali Exclusive : অতীনের ব্যক্তিগত দেহরক্ষীকে RG করে নিয়োগ, ২২ লাখি গাড়ি চড়ে তোলাবাজি! ফের বিস্ফোরক আখতার আলি
'ওদের জোরটা শুধু আখতার আলির উপরেই? ওদের আর কোথাও দুর্নীতির উপর কোনও জোর নেই। একটা সবুজ ছাপ লাগলেই সাত খুন মাফ !' আবার বিস্ফোরক আখতার আলি।

কলকাতা : আর জি কর-দুর্নীতিকাণ্ডের তদন্তে শুক্রবার অতীন ঘোষের শ্যামবাজারের বাড়িতে পৌঁছে যায় CBI-এর দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকরা। প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে চলে জিজ্ঞাসাবাদ। এই পরিস্থিতিতে আরও একবার বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন আর জি কর হাসপাতালের তৎকালীন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে তিনিই প্রথম দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন। সেই কারণে তাঁকে বদলিও হতে হয়েছিল, বলে দাবি করেন তিনি। এবার আরও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনলেন তিনি।
আখতার আলির দাবি, সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে মুখ খোলা ও আইনি পথে যাওয়ার খেসারত দিয়ে যেতে হচ্ছে তাঁকে। তাঁর অভিযোগ, শাসক তাঁকে রাজ্য সরকার বিরোধী মনে করে সারা রাজ্য ঘোরাচ্ছে, বদলি করছে, বন্ধ করে দিয়েছে মাইনেও, তিনি পেনশনও পাবেন না! 'তাহলে কি ওদের জোরটা শুধু আখতার আলির উপরেই? ওদের আর কোথাও দুর্নীতির উপর কোনও জোর নেই। একটা সবুজ ছাপ লাগলেই সাত খুন মাফ ! আমাকে কী করবে, খুব বেশি হলে শেষ করে দেবে, মেরে ফেলবে, বাংলার মানুষ আমার সঙ্গে আছে। আজকেও বলছি গভীর দুর্নীতি আছে এটার মধ্যে। আখতার আলি খান অতীন ঘোষের সিকিউরিটি ছিল, পার্সোনাল সিকিউরিটি। তাকে উনি সুদীপ্ত রায়ের সঙ্গে মিলে আরজি করে নিয়োগ করলেন যাতে তোলাবাজি করা যায়..কীভাবে ও তোলাবাজি করেছে...২২ লাখ টাকার গাড়ি নিয়ে ঘুরত।'
আখতার আলির অভিযোগ , অতীন রায়ের এই দেহরক্ষীই আরজি করে কাজ পেয়ে দামি গাড়ি চড়ে ঘুরত। খোলাখুলি হুমকি দিত আরজিকরের তৎকালীন প্রিন্সিপ্যাল মানস বন্দ্যোপাধ্যায়কে। একজন সিকিউরিটি গার্ড এই স্পর্ধা পায় কী করে, প্রশ্ন তুললেন আখতার আলি।
কিন্তু একজন সরকারি কর্মী আর জি কর হাসপাতালের তৎকালীন ডেপুটি সুপার আখতার আলি, কীভাবে তাঁর মাইনে আটকায় রাজ্য সরকার? তাঁর অভিযোগ, 'আমি মাইনে পাইনি আজ অবধি। আমার সার্ভিস রেগুলারাইজ হয়নি। আমি তো জীবনে কোনদিন পেনশন পাব না। কিন্তু এটা একটা শেমলেস ব্যাপার...আমি যেই ডিপার্টমেন্টে চাকরি করি, সবকিছু দিলাম, ওই ডিপার্টমেন্টের স্বার্থে আমি মুখ খুললাম, বাচ্চা-বাচ্চা মেয়েদের এই অভীক দে আইটেম সং-এ ডান্স করাচ্ছে, তার মানে হচ্ছে আমি ব্লাইন্ড, আমি দেখতে পাচ্ছি না...আমি এত অসহায় কেন... পশ্চিমবঙ্গের মানুষ এত অসহায় কেন। '
তিনি অনিশ্চিত এই তদন্তের শেষে আদৌ কোনও দুর্নীতির কিনারা হবে কি না। তবে সিবিআই যে যোগসূত্র খুঁজে খুঁজে তদন্ত করছে, তল্লাশি করছে, সেটাকে তিনি ইতিবাচক বলেই মনে করছেন।






















