Calcutta High Court: অসুস্থতার কারণে ট্রান্সফারের আবেদন শিক্ষিকার, এড়িয়ে যাওয়ায় জরিমানা প্রধানের
২০২২-এর ১ অগাস্ট বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দেয় অবিলম্বে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে। তাতেও কর্ণপাত করেননি প্রধান শিক্ষিকা।
কলকাতা: আউশগ্রামের হাতকৃতি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা। ৭ দিনের মধ্যে না দিলে বেতন কেটে নেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের। অসুস্থতার কারণে ট্রান্সফারের আবেদন জানান স্কুলের শিক্ষিকা হামিদা খাতুন। প্রধান শিক্ষিকা কর্ণপাত না করায় আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। ২০২২-এর ১ অগাস্ট বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দেয় অবিলম্বে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে। তাতেও কর্ণপাত করেননি প্রধান শিক্ষিকা। এর পর আদালত অবমাননার মামলা করেন হামিদা। হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও এত দেরি কেন? প্রশ্ন বিচারপতি মান্থার। প্রধান শিক্ষিকার কাছ থেকে সম্প্রতি নথি পেয়েছেন বলে জানান স্কুল পরিদর্শক। আদালত অবমাননা করেছেন প্রধান শিক্ষিকা, মন্তব্য বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার।
সৌভিক মজুমদার ও কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: আদালতের নির্দেশ অগ্রাহ্য করেছেন প্রধান শিক্ষিকা। ১০ হাজার টাকা জরিমানা করল ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট। পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের হাটকীর্তিনগর বালিকা বিদ্যালয়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটের গোকর্ণে বাড়ি হলেও ৫ বছর ধরে এখানে শিক্ষকতা করেন হামিদা খাতুন।
শিক্ষিকার দাবি, অসুস্থতার কারণে নিয়ম মেনে বদলির আবেদন জানান তিনি। কিন্তু কর্ণপাত করেনি প্রধান শিক্ষিকা নিরুপমা হাজরা। প্রধান শিক্ষিকার কাছ থেকে কোনও সাড়া না পেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন হামিদা।
২০২২ সালের ১ অগাস্ট বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দেন, শিক্ষিকার স্থানান্তরের প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে নির্দেশ দেন। তাতেও কর্ণপাত করেননি প্রধান শিক্ষিকা।
পরে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেন হামিদা। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে শুনানি হয় সেই মামলার।
আদালতে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক জানান, সোমবার জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিককে পাঠানো হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী কোনোও শিক্ষিকা স্বাস্থ্যের কারণে স্থানান্তরের আবেদন জানালে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক একটি টিম গঠন করে সেই আবেদনের গ্রহণযোগ্যতা যাচাই করবে। সেই রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে স্থানান্তরের নির্দেশিকা জারি করে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক।
হাইকোর্ট নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও অগাস্ট থেকে ফেব্রুয়ারি এত দেরি হল কেন? প্রশ্ন করেন বিচারপতি। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক জানান, প্রধান শিক্ষিকার কাছ থেকে সম্প্রতি তাঁরা নথি পেয়েছেন। এরপর বিচারপতি মন্তব্য করেন, আদালতের নির্দেশের অবমাননা করেছেন প্রধান শিক্ষিকা।
বিচারপতি নির্দেশ দেন, প্রধান শিক্ষিকাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হল। ৭ দিনের মধ্যে ওই অর্থ দিতে হবে হামিদা খাতুনকে। জরিমানার অর্থ না দিলে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক ওই অর্থ প্রধান শিক্ষিকার বেতন থেকে কেটে হামিদার হাতে দেবেন। এ বিষয়ে জেলা স্কুল পরিদর্শক শ্রীধর প্রামাণিক, ডিআই(মাধ্যমিক)-এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি
বিচারাধিন বিষয় বলে, কোনও মন্তব্য করতে চাননি। উল্লেখ্য এর আগেও বিদ্যালয়ের প্রধানদের কাজের গাফিলতির জন্য সতর্ক করেছিলেন বিচারপতি মান্থা।