Baguiati Promoter Case: প্রোমোটারকে মেরে মাথা ফাটানোর অভিযোগ, আত্মসমর্পণের পরই জামিন তৃণমূল কাউন্সিলরের
Baguiati Case: ঘটনার পর প্রায় ২ মাস নিখোঁজ ছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর। এতদিনে খোঁজ পায়নি পুলিশও। অবশেষে আত্মসমর্পণ করেছেন তিনি। আর তারপরই পেয়েছেন জামিন।

সমীরণ পাল, কলকাতা : তোলা না দেওয়ায় বাগুইআটিতে প্রোমোটারকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল কাউন্সিলর সমরেশ চক্রবর্তীর দলবলের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে ফেরার ছিলেন শাসক দলের এই কাউন্সিলর। প্রায় ২ মাস ধরে তাঁর খোঁজ পায়নি পুলিশ। অবশেষে আত্মসমপর্ণ করেছেন এই তৃণমূল কাউন্সিলর। আর আত্মসমর্পণের পরই জামিন পেয়েছেন প্রোমোটারকে মারধরের ঘটনায় নাম জড়ানো অভিযুক্ত কাউন্সিলর। সমরেশ চক্রবর্তী বিধাননগর পৌর নিগমের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের। আত্মসমর্পণের পরই যে তিনি জামিন পেয়েছেন সেই দাবি করেছেন ওই প্রোমোটারের আইনজীবী।
গত বছর ১৫ ডিসেম্বর বাগুইআটির প্রোমোটার কিশোর হালদারকে বন্দুকের বাঁট দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল শাসক দলের ওই কাউন্সিলরের দলবলের বিরুদ্ধে। যে পরিমাণ তোলা যাওয়া হয়েছিল তা পুরোটা দিতে পারেননি প্রোমোটার। তার জেরেই হামলা চালানো হয় বলে দাবি করেন প্রোমোটার কিশোর হালদার। সরাসরি অভিযোগ করেন তৃণমূল কাউন্সিলর সমরেশ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। তাঁর মদতেই সবটা হয়েছে বলে দাবি করেন ওই প্রোমোটার। বারাসাত আদালতে আত্মসমর্পণের পর জামিন পেয়েছেন অভুযক্তি তৃণমূল কাউন্সিলর সমরেশ চক্রবর্তী, এমনটাই দাবি করেছেন প্রোমোটারের আইনজীবী অলোক সমাজপতি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গতকাল অর্থাৎ ১৫ ফেব্রুয়ারি বারাসাত আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন শাসক দলের কাউন্সিলর সমরেশ চক্রবর্তী। তারপরই জামিন পেয়েছেন তিনি। তবে এখনই ঢুকতে পারবেন না এলাকায়। প্রশ্ন উঠছে ২ মাস ধরে যে অভিযুক্ত কাউন্সিলর নিখোঁজ রইলেন, তাঁর খোঁজই পেল না পুলিশ? এদিকে তৃণমূল কাউন্সিলর জামিন পাওয়ার পর ফের পুলিশের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ওই প্রোমোটার। টেনেছেন প্রভাবশালী তত্ত্বের কথাও। এর আগেও তিনজন গ্রেফতার হয়েছিল। তাদের জেল হেফাজতও হয়েছিল। কিন্তু পরে তারা জামিনে ছাড়া পেয়ে যায়।
প্রোমোটার কিশোর হালদার বলছেন, যে তিনজন আগে ধরা পড়েছিল তাদের ১৪ তারিখ জামিন হল। আর অভিযুক্ত কাউন্সিলর ১৫ তারিখ আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়ে গেলেন। পুলিশ কোনও সক্রিয়তাই দেখায়নি হেফাজতে নেওয়ার ব্যাপারে। আগেও পুলিশ আশ্বাস দিয়েছিল যে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হবে। কিন্তু সমরেশ চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। অভিযুক্ত এই ২ মাস বাড়িতেই ছিলেন বলেও অভিযোগ করেছেন ওই প্রোমোটার। এর পাশাপাশি গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, মাথার উপর বড় কারও হাত রয়েছে। অর্থাৎ ফের উঠছে প্রভাবশালী তত্ত্ব। এর আগে তৃণমূল নেতা এবং বিধাননগর পুরসভার চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্তের নামেও অভিযুক্ত কাউন্সিলরকে আশ্রয় দেওয়ার মতো অভিযোগ করেছিলেন এই প্রোমোটার।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
