Sajal Ghosh: 'এলাকায় অশান্তি পাকানোর চেষ্টা', গ্রেফতার বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ !
BJP Leader: বিজেপির বনধকে কেন্দ্র করে কোলে মার্কেটে ব্যাপক উত্তেজনা। সম্মুখসমরে বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ ও তৃণমূল। পুলিশের সামনেই ধস্তাধস্তি, উত্তেজনা ছড়ায়।
সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : বনধের সমর্থনে কোলে মার্কেটে গিয়েছিলেন। কিন্তু, সেখানে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ ছড়ায়। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে তর্ক-বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। যদিও প্রথমে তাঁকে শান্তিপূর্ণভাবেই বনধের সমর্থনে নামতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু, কোলে মার্কেটে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার কিছু পর তিনি বাড়ি আসেন। সেই সময়ই তাঁর বাড়ি ঘিরে ফেলে পুলিশ। আশঙ্কা তখনই করা হচ্ছিল। শেষমেশ এলাকায় অশান্তি তৈরির চেষ্টার অভিযোগে বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
কোলে মার্কেটে তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পর সজল ঘোষের বাড়ি ঘিরে ফেলে পুলিশ। আগের বারের মতো তাঁকে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। সেই আশঙ্কায় সজল ঘোষের বাড়ির মেন গেটের সামনে জড়ো হয়ে যান একাধিক মহিলা। বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয় সজল ঘোষের বাড়ির চারপাশে। ঘিরে ফেলা হয় বিজেপি কাউন্সিলরের বাড়ি। এই পরিস্থিতিতে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সেখানে। খবর পেয়ে সজল ঘোষের বাড়ি চলে আসেন তাপস রায়। পরে সেখান থেকে বেরিয়ে কথা বলেন পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে। কেন এত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, তা জানতে চান পুলিশের কাছে।
প্রায় ১১টা ২০ মিনিট নাগাদ সজল ঘোষকে তাঁর বাসভবন থেকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়। ডিসি বলেন, তাঁকে আটক করা হয়েছে। সেইসময় প্রচুর সংখ্যক কর্মী-সমর্থক জড়ো হয়েছিলেন এলাকায়। ফলে, সেই সময় তাঁর নিরাপত্তার স্বার্থে স্থানীয় থানায় তাঁকে রাখা হয়নি। তাঁকে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। কলকাতা পুলিশ সূত্রের খবর, এলাকায় জোর করে বনধে অশান্তির পরিবেশ তৈরি করছিলেন সজল ঘোষ, জোর করে দোকানপাঠ বন্ধ করার চেষ্টা করছিলেন, এর জেরে এলাকায় যথেষ্ট অশান্তি ছড়িয়েছিল। এই অভিযোগেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি এই মুহূর্তে লালবাজারে রয়েছেন। কিছুক্ষণ আগেই তাঁর স্ত্রী আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, পুলিশের তরফে তাঁর স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সজল ঘোষের সপক্ষে দাঁড়ানো এক মহিলা বিক্ষোভকারী বলেন, "আমাদের একজন মহিলা বন্ধুকে যেমন হেঁচড়াতে হেঁচড়াতে নিয়ে গেল, ঠিক একইভাবে সজল ঘোষকেও একবার হেঁচড়াতে হেঁচড়াতে নিয়ে গিয়েছিল। আমাদের উপর দিয়ে সজল ঘোষকে নিয়ে যেতে হবে।"
এই পরিস্থিতিতে ঘরে আটকা পড়া সজল হুঙ্কার ছেড়েছিলেন। তিনি বলেন, "আমি চাই পুলিশ এখানে থাকুক। আমাদের আন্দোলনকারীরা বাকি জায়গায় আন্দোলন করুক। আমাকে যা করার করুক। দরজা ভেঙে নিয়ে যাক না। পালিয়েছিল নাকি ? আমি চাইলে এখনও পালাতে পারি। কিছু করতে পারবে না। কিন্তু, পালাব না।"
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।