Bangladeshi Arrested: অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেফতার বাংলাদেশ পুলিশের অ্যাসিসট্যান্ট পদমর্যাদার আধিকারিক !
Bangladeshi Infiltration: এবার অনুপ্রেবেশের অভিযোগে পুলিশের জালে খোদ বাংলাদেশ পুলিশের অ্যাসিসট্যান্ট পদমর্যাদার অফিসার। কেন তিনি ভারতে ঢুকেছিলেন, আপাতত তা জানারই চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

পার্থপ্রতিম ঘোষ, উত্তর ২৪ পরগনা : অনুপ্রবেশের অভিযোগে উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরে গ্রেফতার বাংলাদেশ পুলিশের এক আধিকারিক। গতকাল স্বরূপনগরের হাকিমনগর সীমান্ত চৌকি থেকে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার পুলিশ অফিসার আরিফুর জামানকে হাতেনাতে পাকড়াও করে BSF-এর ১৪৩ নম্বর ব্যাটালিয়ন। বাংলাদেশ পুলিশের আধিকারিকের বেআইনিভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগ রয়েছে। তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় BSF. ধৃতের কাছ থেকে একটি পরিচয়পত্র উদ্ধার হয়েছে। কী উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের পুলিশ আধিকারিক ভারতে ঢুকেছিলেন, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আজ তাঁকে আদালতে তোলা হয়েছে।
হালফিলে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশের পরিমাণ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। কোথাও দেখা গিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে আসা ব্যক্তি এখানকার কাউকে নিজের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে দিব্যি ভোটার, আধার কার্ড বানিয়ে ফেলেছেন। অনেক ক্ষেত্রে তো এও দেখা গিয়েছে যে, যাঁকে নিজের আত্মীয় বলে পরিচয় দিয়েছেন সেই ব্যক্তি বেঁচেই নেই। আবার দেখা গিয়েছে, একই ব্যক্তির নাম ভারতের ভোটার তালিকার পাশাপাশি বাংলাদেশের ভোটার তালিকাতেও রয়েছে। আদতে সেই ব্যক্তি বাংলাদেশেরই বাসিন্দা। অথচ বছরের পর বছর ধরে দু'দেশেরই নাগরিক তিনি। দেন ভোটও। বাংলাদেশ থেকে অবৈধ ভাবে ভারতে এসে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন। সঙ্গে রয়েছে ভারতীয় পরিচয়পত্রও, এমন নিদর্শনও মিলেছে।
তবে এবার অনুপ্রেবেশের অভিযোগে পুলিশের জালে খোদ বাংলাদেশ পুলিশের অ্যাসিসট্যান্ট পদমর্যাদার অফিসার। কেন তিনি ভারতে ঢুকেছিলেন, আপাতত তা জানারই চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। ২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এভাবে বাংলাদেশি অনুপ্রেবেশের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় নিঃসন্দেহে তা উদ্বেগ সৃষ্টি করছে।
ভারতে অনুপ্রবেশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিকের হাতে জাল আধার কার্ড
গত শুক্রবার ভারতে ঢুকেছিলেন অবৈধ ভাবে। শনিবারই সেই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীর হাতে পৌঁছে গিয়েছে জাল আধার কার্ড। আর তা দেখিয়ে আন্তর্জাতিক সীমানা পেরিয়ে ভারত থেকে নেপালে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল ওই অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। সেই সময়েই প্রথমে তাঁকে আটক করে SSB. পরে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শিলিগুড়ির খড়িবাড়িতে ভারত-নেপাল সীমান্তে পানিট্যাঙ্কি থেকে গ্রেফতার হন এই ব্যক্তি।
বাংলাদেশের পরিচয়পত্রে ওই যুবকের নাম মহম্মদ মানিক। অন্যদিকে আধার কার্ডে নাম রাতুল খান। আধার কার্ডে পূর্ব মেদিনীপুরের লস্করপুরের ঠিকানা রয়েছে। পরে জেরায় ওই যুবক জানান তিনি আদপে বাংলাদেশের লালমনিরহাটের বাসিন্দা। ধৃত বাংলাদেশি মহম্মদ মানিককে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালত। ধৃতের থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বাংলাদেশের পরিচয়পত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও ভারতীয় আধার কার্ড।






















