Shantiniketan Poush Mela: বাংলাদেশে নৈরাজ্য, অশান্তি! শান্তিনিকেতনের পৌষমেলায় এবছর নেই ওপার বাংলার কোনও স্টল
Shantiniketan Poush Mela News: মঙ্গলবার ভোরে গৌরপ্রাঙ্গণে বৈতালিক, সানাই এবং রবীন্দ্র সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে শান্তিনিকেতনে পৌষ উৎসবের সূচনা করা হয়

ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: কুয়াশা ঘেরা শান্তিনিকেতনে শুরু হল পৌষের উৎসব। শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লি মাঠে আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে শুরু হল পৌষমেলা। পৌষ উৎসব ও মেলাকে ঘিরে সোমবার থেকেই পর্যটক আসতে শুরু করেছিলেন বোলপুর- শান্তিনিকেতনে। কয়েক লক্ষ মানুষের সমাগম হবে ধরে নিয়েই, প্রস্তুতি সেরেছে বিশ্বভারতী ও জেলা প্রশাসন। প্রত্যেক বছরই এই মেলা ঘিরে শান্তিনিকতেনে প্রচুর মানুষ আসেন। তবে প্রত্যেক বছরই ক্রমে ক্রমে ভিড় বাড়ছে, সেই মতো প্রস্তুতি ও নিয়েছে প্রশাসন।
মঙ্গলবার ভোরে গৌরপ্রাঙ্গণে বৈতালিক, সানাই এবং রবীন্দ্র সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে শান্তিনিকেতনে পৌষ উৎসবের সূচনা করা হয়। চিরাচরিত প্রথা মেনে, ৭ই পৌষ সকালে ব্রহ্ম উপাসনা হয় ছাতিমতলায়। এর পরে পৌষমেলার বিনোদন মঞ্চে সকাল সাড়ে ৯টায় আনুষ্ঠানিক ভাবে মেলার উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রবীর কুমার ঘোষ। ছিলেন জেলা শাসক ধবল জৈন, জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ সহ অনান্যরা। মেলা চলবে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রথা মেনে এ বারও বিনোদন মঞ্চে বাউল-ফকিরদের গান, কবিগান, কীর্তন, ছৌ ও আদিবাসী নৃত্য থেকে শুরু করে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান রাখা হয়েছে। বুদ্ধকীর্তন, ভাওয়াইয়া, রাইবেশে, ভাদু গানও রয়েছে।
মেলার মাঠের অধিকাংশ জায়গাই স্টলে ভরে উঠেছে। তবে, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক অশান্তির কারণে এ বার পৌষমেলায় বাংলাদেশের তরফে কোনও স্টল নেই। শান্তিনিকেতন বিশ্ব ঐতিহ্যক্ষেত্রের স্বীকৃতি পেয়েছে। প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রেখে সাজিয়ে তোলা হয়েছে মেলা প্রাঙ্গণ। ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেলের তরফে থাকছে মেলায় বিশেষ প্রদর্শনী। সেখানে হেরিটেজ জোনের মধ্যে থাকা ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলিকে চিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে তুলে ধরা হবে। শান্তিনিকেতন আশ্ৰম সম্পর্কেও বিশদ বিবরণ থাকবে। রবীন্দ্রভবনের তরফে থাকছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভ্রমণের আলোকচিত্রের একটি প্রদর্শনী। কলাভবনের প্রদর্শনীও আছে।
এ বছর পরিবেশবান্ধব মেলার লক্ষ্যে প্লাস্টিক-মুক্ত পৌষমেলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্বভারতী। তাই মেলায় প্লাস্টিকের ব্যবহার সম্পূর্ণ রূপে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পরিবর্তে কাগজের ব্যাগের ব্যবহার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কিছু বছর আগে পর্যন্ত আইনি গেরোয় পৌষ মেলা মাত্র ৩ দিনে সীমাবদ্ধ হয়ে গিয়েছিল। তবে সদ্য কয়েকটা বছর এই মেলার দিন সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। এই বছর ৭ দিন পর্যন্ত থাকবে এই মেলা। একদিকে যেমন এই মেলা দূর দূরান্তের মানুষের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু, তেমনই স্থানীয় মানুষদের জীবিকার অন্যতম উৎস ও বটে।






















