Bankura News: অবৈধ পোস্ত চাষের রমরমা রুখতে বাঁকুড়ায় এ বার ড্রোনের নজরদারি
Bankura News: চলতি বছরের গোড়ায় এই মেজিয়া ব্লকেরই বানজোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত দামোদর নদী গর্ভের বিস্তীর্ণ এলাকায় অভিযান চালায় আবগারি দফতর। সে বার বিঘার পর বিঘা পোস্ত জমি নষ্ট করা হয়।
প্রসূন চক্রবর্তী, বাঁকুড়া: পুলিশি নজরদারি চালিয়েও রোখা যাচ্ছে না অবৈধ পোস্ত চাষ (Poppy Cultivation)। তাতে এ বার নয়া রাস্তা ধরল বাঁকুড়া (Bankura) জেলার সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এবং জেলা এক্সাইজ ডিপার্টমেন্ট (Excise Department)। দামোদর নদীর তীরে ড্রোন উড়িয়ে অবৈধ পোস্ত চাষের উপর নজরদারি চালানো হল। উন্নত এই প্রযুক্তির মাধ্যমে আগামী দিনে অবৈধ পোস্ত চাষে লাগাম টানা যাবে বলে আশাবাদী প্রশাসন এবং আবগারি বিভাগ।
দামোদরের তীরে, বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে মাফিয়ারা অবৈধ ভাবে পোস্ত চাষ করে চলেছে বলে অভিযোগ উঠছিল দীর্ঘ দিন ধরেই। তা নিয়ে লিখিত অভিযোগও জমা পড়েছে প্রশাসনের কাছে। তাতেই সম্প্রতি নড়েচড়ে বসে স্থানীয় প্রশাসন এবং জেলা শুল্ক বিভাগ। অনেক ভাবনা-চিন্তার পর ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নিল তারা।
সেই মতো বৃহস্পতিবার মেজিয়া থানার অন্তর্গত জপমালি গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনস্থ দুর্গামানা গ্রামে দামোদরের তীর বরাবর এলাকায় ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হয়। নদী তীরবর্তী জমির উপরে ওড়ানো হয় ড্রোন। কোথাও অবৈধ ভাবে পোস্ত চাষ হচ্ছে কি না দেখা হয় তাতে বলানো ক্যামেরার মাধ্যমে।
আরও পড়ুন: WB Municipal Elections: মমতা দূরদর্শী, মানুষের নাড়ি বোঝেন, টিকিট পেয়ে বললেন সব্যসাচী
এ দিন এই ড্রোন অভিযানে অংশ নেন বাঁকুড়া জেলার ডেপুটি এক্সাইজ কমিশনার, জেলার আইসি এক্সাইজ, মেজিয়া থানার ওসি-সহ প্রশাসনের একাধিক শীর্ষ কর্তা। জেলার ডেপুটি এক্সাইজ কমিশনার বিশ্বজিৎ ভক্ত বলেন, “বাঁকুড়া জেলার এক্সাইজ বিভাগ, সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, জেলা পুলিশের সহযোগিতায় এনআরডিএম-কে সঙ্গে নিয়ে ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হল। কতটা এলাকা জুড়ে অবৈধ পোস্ত চাষ হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখাল। আজ প্রায় ১০ স্কোয়্যার কিলোমিটার এলাকা জুড়ে নজরদারি চালানো হয়। এখনও বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ।” তাই কী ধরা পড়েছে, তা পরে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বাঁকুড়ায় অবৈধ ভাবে পোস্ত চাষের অভিযোগ নতুন নয়। প্রশাসনের নীকের ডগাতেই সেই ব্যবসা রীতিমতো ফুলেফেঁপে উঠেছে। চলতি বছরের গোড়ায় এই মেজিয়া ব্লকেরই বানজোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত দামোদর নদী গর্ভের বিস্তীর্ণ এলাকায় অভিযান চালায় আবগারি দফতর। সে বার বিঘার পর বিঘা পোস্ত জমি নষ্ট করা হয়।