(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
WB Municipal Elections: মমতা দূরদর্শী, মানুষের নাড়ি বোঝেন, টিকিট পেয়ে বললেন সব্যসাচী
WB Municipal Elections: বরাবর মমতার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ভোটের লড়াইয়ে নামলেও, এ বছর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-র (BJP) প্রতীকে ভোটে লড়েছিলেন সব্যসাচী। পরাজয়ের পর যদিও ফের ফিরে আসেন তৃণমূলে।
কলকাতা: কালীঘাটে তাঁর নাম নিয়ে আলোচনা চলছে বলে খবর উঠে আসছিল সকাল থেকেই। রাত গড়াতেই তা সত্য বলে প্রমাণিত হল। আসন্ন পুরনিগম নির্বাচনে বিধাননগর (Bidhannagar Municipal Election) থেকে ফের প্রার্থী হচ্ছেন সেখানকার প্রাক্তন মেয়র সবস্যসাচী দত্ত (Sabyasachi Dutta)। জোড়াফুলের (TMC) প্রতীকেই ফের ভোটে নামতে চলেছেন তিনি।
শুরু থেকেই বিধাননগর থেকে প্রতিনিধিত্ব করে আসছেন সব্যসাচী। এ বারও সেই ৩১ নম্বর ওয়ার্ডেই তাঁকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। দলের প্রার্থী তালিকায় নাম ওঠার পর মন্দিরে পুজো দিতে দেখা যায় সব্যসাচীকে। পুজো দিয়ে বেরিয়ে বলেন, “১৯৯৫ থেকে বিধাননগরে লড়ে আসছি। এই নিয়ে ছ’বার পৌরনিগম নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। পাঁচ বার নিজে ভোটে দাঁড়িয়েছি। আসন সংরক্ষিত হওয়ার পর স্ত্রী দাঁড়িয়েছিলেন এক বার।”
বরাবর মমতার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ভোটের লড়াইয়ে নামলেও, এ বছর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-র (BJP) প্রতীকে ভোটে লড়েছিলেন সব্যসাচী। পরাজয়ের পর যদিও ফের ফিরে আসেন তৃণমূলে। তার পর থেকেই ভোটের রাজনীতিতে তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। সেই নিয়ে প্রশ্ন করতে সব্যসাচী বলেন, “মমতাদি (Mamata Banerjee) দলে ফিরিয়ে নিয়েছেন আমাকে। আমি অন্য দলে চলে গিয়েছিলাম। উনি ফিরিয়ে এনেছেন, দলে জায়গা করে দিয়েছে। আবার কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা, ওঁর সম্মান যেন রাখতে পারি। এখানে ৪১টি ওয়ার্ডে যত জন লড়ছেন, সকলে মমতাদির প্রার্থী। মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে ভোট দেন। আমি হেরেছি বিধানসভা নির্বাচনে। অকপটে তা স্বীকার করছি। কিন্তু ব্যক্তি আমি হারিনি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবির বিরুদ্ধে লড়ে জিততে পারিনি।”
আরও পড়ুন: TMC : তৃণমূলের প্রার্থীতালিকায় চমক, বিধাননগরের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী সব্যসাচী দত্ত
এ দিন মমতার ভূয়সী প্রশংসাও করেন সব্যসাচী। তিনি বলেন, “দলনেত্রীর আশীর্বাদ এবং অভিষেকের প্রচেষ্টা সফল করতে এগোব। দিদিই বিধাননগরকে পৌরনিগম করার স্বপ্ন দেখেছিলেন। বিমানবন্দরে নেমে মানুষ কলকাতা দেখার আগে সল্টলেক দেখবেন, তাই বিধাননগরকে সুন্দর উপনগরী হিসেবে সাজিয়ে তুলতে বলেছিলেন আমাকে। কমিশনের অনেক বাধা ছিল সেই সময়। তা সত্ত্বেও মমতার দূরদর্শিতায় তা সম্ভব হয়েছে। অনেকে অনেক কথা বলেন। সমালোচকরা সমালোচনা করবেনই। কিন্তু মমতাদির দূরদর্শিতা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। উনি মানুষের নাড়ি বোঝেন। মানুষ কী চান, তা ওঁর চেয়ে ভাল কেউ বোঝেন না।”
সব্যসাচীর নাম নিয়ে যদিও সকাল থেকেই জল্পনা চলছিল তৃণমূলে। বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রার্থী তালিকা নিয়ে কালীঘাটে জরুরি বৈঠক করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত বক্সি, অরূপ বিশ্বাসও উপস্থিত ছিলেন ওই বৈঠকে। সেখান থেকে বেরিয়ে ফিরহাদ জানান, রাতেই প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করা হবে। সেই মতোই রাত ১০টা নাগাদ প্রার্থী তালিকা হাতে আসে। তাতেই সব্যসাচীর নাম উঠে আসে।