(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Bankura : বিষ্ণুপুর পুরসভার টেন্ডার দুর্নীতিকাণ্ডে এবার গ্রেফতার প্রাক্তন ওভারশিয়ার
টেন্ডার দুর্নীতিকাণ্ডে এবার বিষ্ণুপুর পুরসভার প্রাক্তন ওভারশিয়ারকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বয়ানে অসঙ্গতি থাকার কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
তুহিন অধিকারী, বিষ্ণুপুর(বাঁকুড়া) : টেন্ডার দুর্নীতিকাণ্ডে এবার বিষ্ণুপুর পুরসভার প্রাক্তন ওভারশিয়ারকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বয়ানে অসঙ্গতি থাকার কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ধৃতকে ৩ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বিষ্ণুপুর পুরসভায় ১০ কোটি টাকার টেন্ডার দুর্নীতিকাণ্ডে আগেই গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। এবার গ্রেফতার হলেন পুরসভার প্রাক্তন ওভারশিয়ার। টেন্ডার দুর্নীতিকাণ্ডে শ্যামাপ্রসাদ ছাড়া আরও কয়েকজন জড়িত আছেন বলে পুলিশ সূত্রে দাবি করা হচ্ছিল।
মঙ্গলবার বিষ্ণুপুর পুরসভার প্রাক্তন ওভারশিয়ার, দিলীপ গড়াইকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডাকা হয়। পুলিশ সূত্রে দাবি, বয়ানে অসঙ্গতি মেলায় গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
২০২০-র ২৫ মে পর্যন্ত বিষ্ণুপুর পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। পুরসভার মেয়াদ শেষের পর, ওই বছর ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত প্রশাসক ছিলেন। এর ২ বছর আগেই ২০১৮-র নভেম্বরে ওভারশিয়ারের পদ থেকে অবসর নিয়েছিলেন ধৃত দিলীপ গড়াই। তারপরও পুরসভার অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি বা OSD-র দায়িত্বে ছিলেন। টেন্ডার-দুর্নীতির অভিযোগে তাঁর কী ভূমিকা ছিল, তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
প্রায় ১০ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে দিন দুয়েক আগে গ্রেফতার হন বিষ্ণুপুরের প্রাক্তন বিধায়ক শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। বিষ্ণুপুর পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে পুরসভার টেন্ডার সংক্রান্ত আর্থিক তছরুপের অভিযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য, রাজ্যে বাম জমানা থেকে শুরু করে তৃণমূলের আমল-দীর্ঘদিন বিষ্ণুপুর পুরসভার চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করেছেন। প্রথমে কংগ্রেসের হয়ে, পরে তৃণমূলের হয়ে বিষ্ণুপুর পুরসভার চেয়ারম্যান পদের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। বিধায়কও নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। তৃণমূল সরকারের আমলে আবাসন, বস্ত্র , মহিলা ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। ২০১৬-তে বিধানসভা নির্বাচনে হেরে গিয়েছিলেন তিনি। এরপরও অবশ্য বিষ্ণুপুর পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর প্রশাসকও নিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু গত বছর ভোটের আগে ওই পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়।
যদিও পুলিশের দাবি, ১০ কোটির দুর্নীতির ঘটনায় সরাসরি যোগ রয়েছে শ্যামাপ্রসাদের।