Bankura News: আত্মঘাতী কৃষকেরবাড়িতে যাওয়ার পথে বাধা, শুভেন্দু অধিকারীকে কালো পতাকা, গো ব্যাক স্লোগান
Suvendu Adhikari News: বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, আমাকে আটকাচ্ছেন কেন? ১৪৪ ধারা জারির অর্ডার দেখান, জানেন আমি বিরোধী দলনেতা, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি।
তুহিন অধিকারী, পূর্ণেন্দু সিংহ ও সোমনাথ দাস, কোতুলপুর: বাঁকুড়ার (Bankura) কোতুলপুরে (Katulpur) আত্মঘাতী কৃষকের (Farmer) বাড়িতে যাওয়ার পথে পুলিশের বাধার মুখে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিধানসভার বিরোধী দলনেতাকে কালো পতাকা, গো ব্যাক স্লোগান গ্রামবাসীদের একাংশের। যা নিয়ে তরজায় জড়িয়েছে তৃণমূল (TMC) ও বিজেপি (BJP)।
বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, 'আমাকে আটকাচ্ছেন কেন? ১৪৪ ধারা জারির অর্ডার দেখান, জানেন আমি বিরোধী দলনেতা, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি'। সোমবার বিকেলে বাঁকুড়ার (Bankura) কোতুলপুরের বালিখা গ্রামে আত্মঘাতী কৃষক তাপস কোটালের বাড়িতে যাচ্ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেইসময় জালিকা মোড়ে বিধানসভার বিরোধী দলনেতার কনভয় আটকে দেয় পুলিশ।
বাধা পেয়ে গাড়ি থেকে নেমে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপি (BJP) নেতা। এরপরই বাঁকুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে কার্যত হুঁশিয়ারি দেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এ দিন শুভেন্দু বলেন, 'আমাকে আপনি চেনেন না। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) হারানো লোক। আমি তিনবার সাংসদ, তিনবার বিধায়ক হয়েছি। ২০১১ সালের আগে এই এলাকায় সোজা করেছি। আপনার বয়স কম। মনে রাখবেন বিজেপির অধীনে আপনাকে চাকরি করতে হবে।'
এরপরই স্লোগান দিতে শুরু করেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তবে পুলিশের বাধার মুখে পড়ার আগেই, গ্রামবাসীদের একাংশের বিক্ষোভের মুখেও পড়েছিলেন তিনি। শুভেন্দুকে দেখানো হয় কালো পতাকা। ওঠে গো ব্যাক স্লোগানও।
রাঢ়বঙ্গ জোনের বিজেপি আহ্বায়ক পার্থ কুণ্ডুর কথায়, তৃণমূল ভয় পাচ্ছে, বিরোধী দলনেতাকে কালো পতাকা দেখাচ্ছে আমাদের রোখার জন্য। বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান শ্যামল সাঁতরার কথায়, কৃষক মৃত্যু নিয়ে বিভ্রান্ত ছড়ানো হয়েছে, সেজন্য গ্রামের মানুষই কালো পতাকা দেখিয়েছে।
এদিকে, কোতুলপুরে যাওয়ার আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনার ধান্যঝাটি গ্রামে যান শুভেন্দু। এখানে এক আত্মঘাতী কৃষকের পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেন তিনি।
ঋণগ্রস্ত হয়ে কৃষক ভোলানাথ বায়েন আত্মঘাতী হন বলে দাবি করেন শুভেন্দু অধিকারী।
যদিও মৃত কৃষকের আত্মীয়র মুখে শোনা গেছে অন্য কথা। আত্মঘাতী কৃষকের আত্মীয় নমিতা বায়েনের কথায়, ঝগড়া হয়েছিল স্ত্রীর সঙ্গে, তারপর বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করে>>আর এই দাবিকে হাতিয়ার করে শুভেন্দুকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।
পশ্চিম মেদিনীপুর (West Midnapur) জেলা পরিষদের তৃণমূল নেতা (TMC) ও সহ সভাধিপতি অজিত মাইতি, অসত্য কথা বলছেন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ায় মৃত্যুকে মিথ্যে অভিযোগ করে আন্দোলন করতে চাইছে, নাটক করছে। কৃষকদের ঋণ মকুবের দাবিতে ২২ থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে আন্দোলনে নামছে গেরুয়া ব্রিগেড।