Bankura News: গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু, দুই গ্রামে দফায় দফায় সংঘর্ষে জখম ৬
এমন ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পাশাপাশি এলাকার উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সেখানে পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
তুহিন অধিকারী, বাঁকুড়া: এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষে জখম হলেন উভয় পক্ষের ছয় ব্যক্তি। দিনভর দফায় দফায় দুই গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার (Bankura) সোনামুখী থানার রামপুরে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, সোনামুখী থানার বোন্দলহাটি গ্রামের শ্রাবণী বাউরির সঙ্গে পাঁচ বছর আগে বিয়ে হয় রামপুর গ্রামের বাসিন্দা বাপি বাউরির। তাঁদের আড়াই বছরের এক কন্যা সন্তানও রয়েছে। জানা গিয়েছে, সাংসারিক কারণে সম্প্রতি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি দেখা দেয়। মাঝেমধ্যেই বাপি বাউরির সঙ্গে শ্রাবনীর অশান্তির আওয়াজ পেয়েছেন বলে জানাচ্ছেন প্রতিবেশীরা। বৃহস্পতিবার অশান্তি চরমে ওঠে। ফের সেদিন সাংসারিক কারণে অশান্তি শুরু হয় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, বৃহস্পতিবার স্বামীর সঙ্গে অশান্তির পর নিজের গায়ে আগুন দেওয়ায় গুরুতর আহত হন শ্রাবনী বাউরি। জানা গিয়েছে, এদিন গায়ে আগুন দিয়ে শ্রাবনী আত্মহত্যার চেষ্টা করলে তাঁর স্বামী তাঁকে বাঁচানোরও চেষ্টা করেন। এর ফলে দুজনেই গুরুতর আহত হন। এরপর দুজনকেই বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হলে শুক্রবার ভোরবেলা মারা যান শ্রাবনী বাউরি।
আরও পড়ুন - Bankura News: বিষ্ণুপুরের সাক্ষীগোপাল মন্দিরে চুরি, প্রণামীর বাক্সসহ লক্ষাধিক টাকার সোনার গয়না উধাও
প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, শ্রাবনী বাউরির মৃত্যুর খবর তাঁর বাপের বাড়ি বোন্দলহাটি গ্রামে পৌঁছলে তাঁর পরিবারের সদস্যরা রামপুরে যান. সেখানেই দুপক্ষের মধ্যে প্রথমে তুমুল বচসা হয়। এরপর দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হলে পরবর্তীতে তা ব্যাপক সংঘর্ষে পরিণত হয়। দুপক্ষের সংঘর্ষে ক্ষতিগ্রস্থ হন এলাকার অন্যান্য বাসিন্দারাও। বেশ কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি সংঘর্ষে দুপক্ষেরই বেশ কয়েকজন আহত হন বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে সোনামুখী থানার বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। সংঘর্ষে দুপক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে। এমন ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পাশাপাশি এলাকার উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সেখানে পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে।