Bankura: খাতড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির হঠাৎ পদত্যাগ, পিছনে কী কারণ?
Bankura News: বুধবার আচমকাই এসডিও অফিসে যান তিনি। সেখানে গিয়ে পদত্যাগপত্র দিয়ে আসেন।

পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: পদে ছিলেন। সেরকম কোনও সমস্যাও সামনে আসেনি। তবুও হঠাৎ পদ থেকে পদত্যাগ। আর তা নিয়ে শোরগোল জেলার রাজনীতিতে। এমনই ঘটনা ঘটল বাঁকুড়ার (Bankura) খাতড়া পঞ্চায়েত সমিতিতে। তৃণমূল পরিচালিত ওই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হঠাৎ পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু পদত্যাগের কারণ স্পষ্ট জানাননি। তার ফলেই শুরু হয়েছে জল্পনা।
সব ঠিক থাকলে সামনের বছরেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayet Election) হবে। তার আগে আচমকা তৃণমূল পরিচালিত বাঁকুড়ার খাতড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির পদত্যাগ ঘিরে তৈরি হয়েছে জল্পনা। ওই পঞ্চায়েত সমিতির পদত্যাগী সভাপতি আনন্দমোহন মাহাতো। এতদিন তিনি খাতড়া ব্লক তৃণমূল সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে, এই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, তৃণমূল (TMC) ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) যোগ দেন। তারপরেই ব্লকের নেতা আনন্দমোহন মাহাতোকে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি করা হয় তৃণমূলের তরফে। তারপর থেকে একই সঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির পদ এবং দলের ব্লক সভাপতির দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু, বুধবার আচমকাই এসডিও (SDO) অফিসে যান তিনি। সেখানে গিয়ে পদত্যাগপত্র (Resignation Letter) দিয়ে আসেন।
কেন এই পদত্যাগ?
সূত্রের খবর, দলের নির্দেশেই পদত্যাগ করতে হয়েছে আনন্দমোহন মাহাতোকে। কিন্তু এমন নির্দেশ কেন? তাঁর পদত্যাগপত্রে তৃণমূল নেতা দাবি করেছেন, দলের সংগঠনের কাজে মন দিতেই এই সিদ্ধান্ত। খাতড়া পঞ্চায়েত সমিতির পদত্যাগী সভাপতি আনন্দমোহন মাহাতো জানান, দল এক ব্যক্তি এক পদ নীতি নিয়েছে। খাতড়া ব্লকের সাংগঠনিক কাজ সামলানোর পাশাপাশি তাঁকে এই বাড়তি দায়িত্ব দিয়েছিল। এখন তাই তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বিজেপির কটাক্ষ:
এই ঘটনায় খোঁচা দিয়েছে বিজেপি। খাতড়া ২ নম্বর মণ্ডলের বিজেপির সহ সভাপতি তাপস সিংহ মোদক বলেন, 'খাতড়া এলাকায় তৃণমূলের একাধিক গোষ্ঠী রয়েছে। সেই গোষ্ঠীগুলির নিজেদের মধ্যে দ্বন্দের শিকার হয়ে এই পদত্যাগ করেছেন আনন্দ মোহন মাহাতো।'
বিজেপির তত্ত্ব নাকচ তৃণমূলের:
বাঁকুড়া তৃণমূলের চেয়ারম্যান মানিক মিত্র বলেন, 'কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। দলের নির্দেশে তিনি পদত্যাগ করেছেন। যাঁকে সরানো হয়েছে তাঁকে দল জেলা স্তরে যোগ্য সম্মান দেবে।'
পিছনে যে কারণই থাকুক। পঞ্চায়েত ভোটের আগে হঠাৎ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদত্যাগপত্র দিয়ে দেওয়ার তুঙ্গে উঠেছে জল্পনা। এই ঘটনার পিছনে আসল কারণ নিয়েও শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপি তরজা।
আরও পড়ুন: ৪ বছর ধরে 'রেশন-অমিল', চুরির অভিযোগ প্রধানের বিরুদ্ধে






















