Bankura Rain: ফের অসময়ের বৃষ্টি, জমিতে জমছে জল, মাথায় হাত আলু ও সব্জি চাষীদের
Bankura News: পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে গতকাল বিকাল থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি(unseasonal rains)। লাগাতার সেই বৃষ্টিতে ফসলের জমিতে জমতে শুরু করেছে জল।আর তার জেরে মাথায় হাত পড়েছে আলু ও শীতকালীন সব্জি চাষীদের।
পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: একের পর এক নিম্নচাপে আগেই লোকসানের মুখে পড়েছিলেন বাঁকুড়া (Bankura) জেলার আলু ও সব্জি চাষীরা (Potato Farmers)। এর আগে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের জেরে মাঠের ধান মাঠেই নষ্ট হয়েছিল বহু জায়গাতেই। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে গতকাল বিকাল থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি(unseasonal rains)। লাগাতার সেই বৃষ্টিতে ফসলের জমিতে জমতে শুরু করেছে জল। আর তার জেরে মাথায় হাত পড়েছে আলু ও শীতকালীন সব্জি চাষীদের।
রাজ্যের আলু উৎপাদক জেলা গুলির মধ্যে অন্যতম বাঁকুড়া। জেলায় শীতকালীন সব্জি চাষও কম হয়না। জেলার মানুষের চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত সব্জি রফতানি করা হয় ভিন জেলা, এমনকি ভিন রাজ্যেও। কিন্তু এবার শীতকালীন আলু ও সবজী চাষে এবার সর্বনাশের ছায়া। একের পর এক নিম্নচাপের ক্রমশই লোকসানের বহর বাড়ছে জেলার চাষীদের। ফের আজ ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাষ দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এরপর কীভাবে পোষাবেন এই লোকসান জানেন না জেলার কৃষকরা।
আবার ও বৃষ্টির কারণে ঘুম উড়েছে হুগলি জেলার আলু চাষীদেরও । গতকাল থেকে মাইকিং করে সর্তক করার পাশাপাশি বৃষ্টির হাত থেকে ফসলকে রক্ষা করতে কৃষকদের কী কী করনীয় তাও বোঝানো হয় কৃষি দফতরের পক্ষ থেকে। বিলি করা হয় লিফলেট ও।
জাওয়াদের কারনে এমনিতেই একমাস পিছিয়ে গেছে হুগলীর আলু চাষ। প্রচুর টাকার ক্ষতির পর এখনও দিশেহারা কৃষক। তারপরেও চড়া দামে সার , বীজ কিনে আলু বসানোর কাজ শুরু করেছেন হুগলির কৃষকেরা। তারই মধ্যে পশ্চিমী ঝঞ্জার কারনে দক্ষিণবঙ্গে হাল্কা থেকে মাঝারি বষ্টির সতর্ক বার্তা দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। গতকালও বৃষ্টি হয়েছে। ফলে ঘুম উড়েছে কৃষকদের । কয়েকদিন আগেই বৃষ্টির জলে আলু চাষ নষ্ট হয়েছে। জল শুকিয়ে পুনরায় আলু বসাতে প্রায় এক মাস পিছিয়ে গেছে আলুর চাষ। এখনও চলছে আলু বসানোর কাজ। আবার মাটি ভিজে থাকায় এখনো কিছুই করা যায় নি অনেক জমিতে । ফলে সব মিলিয়ে দুঃচিন্তায় কৃষকেরা।
কৃষি দফতর থেকে হুগলীর সিঙ্গুর , হরিপাল, জাঙ্গীপাড়া সহ বিভিন্ন ব্লকের কৃষি প্রধান এলাকায় চলে মাইকে প্রচার । বৃষ্টির হাত থেকে ফসলকে বাঁচাতে আল কাটার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে কৃষকদের । সেই সাথে বৃষ্টি জনিত কারণে ফসলে ছত্রাক বা পোকার উৎপাত হলে কি ধরনের কীটনাশক কত পরিমানে দিতে হবে তাও প্রচার করা হচ্ছে কৃষি দফতর থেকে।