Belgharia Expressway: তৃণমূল কর্মীকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে খুন, বেলঘরিয়ায় ঘটনায় বিহার-যোগ
North 24 Parganas: পুলিশ সূত্রে খবর, মনোজই গুলি চালিয়েছিল। তৃণমূল কর্মীকে খুনের ঘটনায় ৬ জন যুক্ত ছিল। এদের মধ্যে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে বেলঘরিয়া থানার পুলিশ।

সমীরণ পাল, বেলঘরিয়া: বেলঘরিয়ায় তৃণমূল কর্মীকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে মাথায় গুলি করে খুনের ঘটনায় বিহার-যোগ (Belgharia Expressway) সামনে এসেছে। পুলিশ সূত্রে দাবি, শ্যুটআউটকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত মনোজ রব্বানি বিহার পালিয়ে গেছে।
খুনের ঘটনায় বিহার-যোগ: গতকাল ভোরে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের নীচে রাজীবনগরে মহম্মদ এনায়েতুল্লা ওরফে রিহানকে মাথায় গুলির ক্ষত নিয়ে রাস্তার ধারে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। ২৮ বছরের ওই তৃণমূল কর্মীকে সাগর দত্ত মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। নিহত তৃণমূল কর্মী প্রোমোটিংয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। প্রোমোটিং বিবাদে খুন কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, মনোজই গুলি চালিয়েছিল। তৃণমূল কর্মীকে খুনের ঘটনায় ৬ জন যুক্ত ছিল। এদের মধ্যে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে বেলঘরিয়া থানার পুলিশ।
নিহত যুবকের বাড়ি বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের পাশে রাজীবনগরে। জমিজমা কেনাবেচার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তৃণমূল কর্মী এই যুবক। নিহত যুবকের মা গতকাল জানান, "ওই দালালি টালালি করত না, এইজন্য। এই জায়গা জমির কাজ করে। এই জায়গা জমি অন্যের নামে, নিজের করে বিক্রি করে। সন্দেহ আছে আমাদের শত্রু এই সুশান্ত। সুশান্ত আর সুজয় দুজনে মিলে।'' এই সুশান্ত রায় বেলঘরিয়ার রাজীবনগর এলাকারই বাসিন্দা। আর সুজয় দাস উত্তর দমদম পুরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর। নিহতের মায়ের আরও অভিযোগ করেছিলেন, এর আগেও তাঁকে বাড়িতে ঢুকে মারধর করে সুশান্ত। তাঁর অভিযোগ, "৬ মাস আগে ঘর বন্ধ করে রাত্রিবেলা বন্দুক দিয়ে মাথায় মারল আমার ছেলেকে। সব লোক জড়ো হয়ে গেল। রিহানকে বের করে হাসপাতালে নিয়ে গেল আর ওরা সব পালিয়ে গেল।''
এদিকে বেলঘরিয়ায় শুটআউটের ঘটনায় এবার পুলিশকে ৪৮ ঘণ্টা সময়সীমা বেঁধে দিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। ঘটনায় মোট চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এখনও অধরা দুজন। তাদের মধ্যে একজন বিহার পাড়ি দিয়েছে ইতিমধ্যে। এই দুজনকে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশকে ৪৮ ঘণ্টা সময়সীমা বেঁধে দিলেন মদন মিত্র। বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে লাগোয়া এলাকায় কী করে এত বড় হত্যাকাণ্ড ঘটল, তা নিয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মদন মিত্র। তিনি বলেন, "পুলিশকে আরও সক্রিয় হতে হবে। দীর্ঘদিন ধরে পুলিশের মধ্যে দুর্নীতি ঢুকে গেছে। মুখ্যমন্ত্রী বারবার সতর্ক করলেও পুলিশের এই চিরাচরিত ধ্যান-ধারণা থেকে পুলিশ বেরোতে পারছে না।'' পুরো ব্যবস্থাটাই ভেঙে পড়েছে বলে দাবি মদনের।





















