Recruitment Scam: অসুস্থ 'কালীঘাটের কাকু', এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র
Sujay Krishna in SSKM: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে চায় ইডি। এদিকে ইডি-র অফিসারদের সামনেই বমি করতে শুরু করেন সুজয়কৃষ্ণ।
কলকাতা: এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন 'কালীঘাটের কাকু' (Kalighater Kaku) ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (Sujay Krishna Bhadra)। আজ প্যারোলের মেয়াদ শেষ হয় সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের। আজই বেহালার বাড়ি থেকে সুজয়কৃষ্ণকে নিয়ে যাওয়া হয় প্রেসিডেন্সি জেলে। সেখানে ইডি-র অফিসারদের সামনেই বমি করতে শুরু করেন সুজয়কৃষ্ণ, খবর সূত্রের।
জেলের চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানান সুজয়কৃষ্ণের প্রেসার বেড়েছে। অক্সিজেন স্যাচুরেশন লেভেলও ওঠা-নামা করছে বলে জানান চিকিৎসক। এরপরই এসএসএমে নিয়ে গিয়ে ইমার্জেন্সি অবজার্ভেশনে রাখা হয় সুজয়কৃষ্ণকে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে চায় ইডি (ED)।
প্রসঙ্গত, গ্রেফতারির পর কালীঘাটের কাকু সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে নিয়ে আদালতে বিস্ফোরক দাবি করেছিল এনফোর্সমনেন্ট ডিরেক্টরেট। কালীঘাটের কাকুর হাওয়ালা যোগের দাবি করেছিল তারা।১০০ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছিল বলে আদালতে তথ্য দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আদালতে ইডির তরফে দাবি করা হয়েছিল, প্রায় ১০ কোটি টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে পাচার হয়েছিল। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের নামে কোম্পানি ওয়েলথ উইজার্ড প্রাইভেট লিমিটেডের মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানিতে টাকা পৌঁছে যায়।
কলকাতার রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ও বিনিয়োগ করা হয়েছিল। আরেকটি কোম্পানি নয়নিকা এন্টারপ্রাইজে নগদ ১ কোটি টাকা জমা পড়ার কথা প্রকাশ্যে আসে। 'জমি কিনতে সেই টাকা ব্যবহার করা হয়েছিল। গ্রেফতারির আগে আমরা সুজয়কৃষ্ণের মোবাইল ফোনে নজরদারি করেছিলাম। ফোনে রাহুল বেরা নামে এক ব্যক্তিকে তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন তথ্য ডিলিট করার' দাবি তোলেন তদন্তকারী সংস্থা।আদালতে ইডি আরও দাবি করে, নজরদারি করে যে তথ্য মিলেছিল, সেই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, তা নাকচ করে দিয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। সেই কারণেই তাঁর কন্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা প্রয়োজন।
সম্প্রতি স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে বেরনোর সময়, এবিপি আনন্দের প্রশ্নের উত্তরে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র বলেছিলেন, 'সব সত্যি একদিন সামনে আসবে।' আপনার সাহেবের বিষয়ে জানতে চেয়েছে ইডি? প্রশ্নের উত্তরে কালীঘাটের কাকু বলেন, হ্যাঁ। কী প্রশ্ন করল? বলতেই জানান, 'সেটা বলা যাবে না। ' সাহেবের নাম বলানোর জন্য কি চাপ দেওয়া হচ্ছে? এবারেও উত্তর 'না' জানালেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র।
আরও পড়ুন, 'ভোটে প্রাণহানির তালিকায় কংগ্রেস কর্মীরাও, রাহুল কি মমতার মুখোমুখি হবেন?' প্রশ্ন মালব্যর
কিন্তু কালীঘাটের কাকুর সাহেব কে? তিনি আগেই তা খোলসা করেছিলেন। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু এর আগে বলেছিলেন, আমি লিপস অ্য়ান্ড বাউন্ডসে কাজ করি। আমার সাহেবকে কোনওদিন ছুঁতে পারবে না। তাই আমায় টানাটানি করছে। আমার সাহেব অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়।