Bengal Recruitment Scam : '২০১২-র টেট পরীক্ষার্থীদের নামও অয়ন শীলের অফিসে', দুর্নীতির শুরু কি তখন থেকেই? উঠছে প্রশ্ন
অফিসের কম্পিউটারের তথ্য দেখেও কার্যত চোখ কপালে উঠেছে ইডির তদন্তকারীদের। একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে।
প্রকাশ সিনহা, কলকাতা : ৩৭ ঘণ্টা ধরে প্রোমোটার অয়ন শীলের ( Promoter Ayan Sheel ) সল্টলেকের অফিসে তল্লাশি চালিয়েছে ইডি( ED) । তারপর গ্রেফতার হন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ ওই প্রমোটার। যেন কোনও রাস্তার চার মাথার মোড়! নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের পথে এগোতে গিয়ে কোনও রাস্তা বেঁকে যাচ্ছে পুরসভায় নিয়োগে দুর্নীতির দিকে, কোনও রাস্তায় আবার ২০১২-র টেট কেলেঙ্কারির দিক নির্দেশ! এই সবকিছুর সঙ্গে যোগসূত্র যাঁর, সর্বসমক্ষে তাঁর পরিচয় প্রোমোটার ! বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অয়ন শীল!
ইডি-র দাবি অনুযায়ী, প্রোমোটারের অফিসের ড্রয়ার থেকে উদ্ধার হয় একের পর এক OMR শিট ও নিয়োগ সংক্রান্ত নথি। অফিসের দেওয়ালে ঝুলছে বিভিন্ন সরকারি দফতরের NOC সার্টিফিকেট। অফিসের কম্পিউটারের তথ্য দেখেও কার্যত চোখ কপালে উঠেছে ইডির তদন্তকারীদের। একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে।
২০১২-র টেটেও হয়েছে কোনও দুর্নীতি?
এমন এক তথ্য এবার সামনে এল , যা তুলে দিল বিরাট এক প্রশ্ন। ২০১২-র টেটেও হয়েছে কোনও দুর্নীতি? কেন এই প্রশ্ন ? শুধু ২০১৪-র নয়, ২০১২-র টেট পরীক্ষার্থীদের নামও মিলেছে অয়ন শীলের অফিসে, দাবি ইডি-র। অয়ন শীলের অফিসে মিলেছে ২০১২-র টেট পরীক্ষার্থীদের নামের তালিকা, খবর ইডি সূত্রে। তবে কি ২০১২-র টেটেও হয়েছে কোনও দুর্নীতি? উঠছে প্রশ্ন। রাজ্যজুড়ে দুর্নীতি চক্রে মিলেছে ২০ জন এজেন্টের হদিশ ।
'প্রচুর কাগজ ফেলা হয়েছে'
অয়নের সল্টলেকের অফিসের বাড়িটির মালিকের দাবি, সরকারি ঠিকাদার পরিচয়ে এই অফিস ভাড়া নিয়েছিলেন অয়ন শীল। পুরসভার অস্থায়ী সাফাই কর্মীর কথায় উঠে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। তাঁর দাবি, গত তিনমাসে এই অফিস থেকে প্রচুর কাগজ ফেলা হয়েছে। প্রায়ই ভোরবেলায় এই অফিস থেকে লোকজনকে বেরিয়ে যেতে দেখেছেন বলেও দাবি করেন ওই সাফাই কর্মী।
প্রোমোটার অয়ন শীলকেই কি শুধু দাবার বোড়ে?
স্বাভাবিকভাবেই এখন প্রশ্ন উঠছে, নিয়োগ দুর্নীতির টাকা বিনিয়োগে প্রোমোটার অয়ন শীলকেই কি শুধু দাবার বোড়ে হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়? ইডি-র দাবি, অয়ন জেরায় জানিয়েছেন, শান্তনুর সঙ্গে আরও তিনজন বিল্ডিং ডেভেলপারের পরিচয় করিয়ে দেন তিনি। তাঁদের মাধ্যমেও শান্তনু বিনিয়োগ করেছিলেন বলে অয়নের দাবি। ফলে এবার ইডি-র স্ক্যানারে ওই তিনজন বিল্ডিং ডেভেলপারও। ইডি সূত্রে খবর, অয়নের সল্টলেকের অফিসের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে ওই তিন বিল্ডিং ডেভেলপার-সহ বেশ কয়েকজনের ছবি ধরা পড়েছে। একে একে প্রত্যেকের ভূমিকাই খতিয়ে দেখা হবে।