Cancer Medicine: বাংলায় জন্মানো মাশরুম-ছত্রাকেই লুকিয়ে মারণ ক্যানসার বধের মোক্ষম অস্ত্র! দাবি বাংলার বিজ্ঞানীর
Cancer Treatment: গবেষণায় বিজ্ঞানীর পর্যবেক্ষণ, দীর্ঘদিন কেমোথেরাপি নেওয়ার পরে শরীর যে রেজিস্ট্যান্স তৈরি করে, সেই ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স আটকাতে পারে এফ-১২।

ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: বর্ষাকালে, বীরভূম-পুরুলিয়া-বাঁকুড়ার শাল-মহুয়া-বহেড়া গাছের গোড়ায় জন্মানো এক ধরনের মাশরুম বা ছত্রাকেই নাকি লুকিয়ে রয়েছে মারণ ক্যানসার বধের মোক্ষম অস্ত্র। দীর্ঘ গবেষণার পর এবার এমনই দাবি করেছেন, রহড়া রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ সেন্টিনারি কলেজের গবেষক ও বটানি বিভাগের প্রধান স্বপনকুমার ঘোষ। আন্তর্জাতিক নেচার পত্রিকার সায়েন্স রিপোর্টে স্থান পেয়েছে তাঁর এই গবেষণা।
বিজ্ঞানীর দাবি, সারভাইকাল থেকে স্তন, ফুসফুসের মতো ভয়ঙ্কর ক্যানসার নিরাময়ে, ব্যাপক ভূমিকা নিচ্ছে এই মাশরুমের মধ্যে পাওয়া উপাদান। বিজ্ঞানীর ভাষায়, এই মাশরুমকে ইথাইল অ্যাসিটেটের জৈব দ্রাবকে ডুবিয়ে রাখার পর মোট ৬১ রকমের কম্পাউন্ড পাওয়া যায়।
সেই কম্পাউন্ডকে আবার ২০টি কম্পাউন্ডে ভেঙে পাওয়া যায় এফ-১২ প্রোডাক্ট। বিজ্ঞানীর দাবি, এই এফ-১২-এ মিলেছে সবচেয়ে বেশি অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট।
কী কী কাজে উপকার করে এফ-১২?
গবেষণায় বিজ্ঞানীর পর্যবেক্ষণ, দীর্ঘদিন কেমোথেরাপি নেওয়ার পরে শরীর যে রেজিস্ট্যান্স তৈরি করে, সেই ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স আটকাতে পারে এফ-১২। ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি ঘটানো LDH-কে শরীর থেকে বের করে দিতে সক্ষম। ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ার পরে, দেহে পি-৫৩ নামে জিন, যাকে গার্জেন অফ জেনম বলা হয়, তা নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। সেই জিনকে ফের সক্রিয় করার ক্ষমতাও রয়েছে এফ-১২-এর। BCL-2 নামে ক্যানসারের অঙ্কো জিনকে দমিয়ে দিচ্ছে এফ-১২।
তবে, মাশরুম থেকে ওষুধ তৈরির পথ এখও অনেক বাকি। বিজ্ঞানীর দাবি, ওষুধ তৈরির আগেই সকাল-বিকাল এই মাশরুম ৫০ গ্রাম করে খেলে, ক্যানসার সংক্রমণের পাশাপাশি, আগাম ক্যানসারকে রুখতেও সাহায্য করে এফ-১২ কম্পোনেন্ট। আন্তর্জাতিক নেচার পত্রিকার সায়েন্স রিপোর্টে স্থান পেয়েছে স্বপনকুমার ঘোষের এই গবেষণা।
উল্লেখ্য, মাশরুম এক ধরনের ছত্রাক এবং এদের অধিকাংশই ব্যাসিডিওমাইকোটা এবং কিছু অ্যাসকোমাইকোটার অন্তভুক্ত। বন-জঙ্গল থেকে সঠিক ধরনের মাশরুম সংগ্রহ করা খুবই কঠিন কাজ। কারণ, অধিকাংশ প্রজাতির মাশরুমই একই ধরনের দেখতে। সেজন্যে মাশরুম সংগ্রহকারীকে রাসায়নিক উপাদান সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন থাকতে হয়। অনেক মাশরুম প্রজাতি সেকেন্ডারি মেটাবোলাইট তৈরি করে যা বিষাক্ত, মস্তিষ্ক বিভ্রান্তকারী, অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিভাইরাল বা বায়োলুমিনেসেন্ট হতে পারে। যদিও অল্প সংখ্যক প্রাণঘাতী প্রজাতি রয়েছে তবুও এগুলি আরও কয়েক রকমের গুরুতর এবং অপ্রীতিকর উপসর্গ সৃষ্টি করতে পারে।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
