Bhadu Sheikh Murder: সঙ্গীরা মিষ্টির দোকানে, অনুপস্থিত নিরাপত্তারক্ষীরাও, ভাদু একা জানল কী করে দুষ্কৃতীরা! ঘনাচ্ছে রহস্য
Rampurhat Murder: ২১ মার্চ রাতে, বগটুই মোড়ে, এভাবেই বোমা মেরে খুন করা হয় তৃণমূলের (TMC) উপপ্রধান ভাদু শেখকে।
প্রকাশ সিন্হা, বীরভূম: তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখ (Bhadu Sheikh Murder) সঙ্গী এবং নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া কোথাও যেতেন না। কিন্তু সিসিটিভি ফুটেজে, খুনের সময় তাঁর আশেপাশে কাউকে দেখা যায়নি। তাহলে কোথায় ছিলেন তাঁরা? এই বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে এবিপি আনন্দর অন্তর্তদন্তে (Rampurhat Murder)। সঙ্গীরা ইচ্ছাকৃতভাবে সরে যাননি তো? সেই প্রশ্নও মাথাচাড়া দিচ্ছে বিভিন্ন মহলে।
কোথায় ছিলেন ভাদুর নিরাপত্তারক্ষীরা, উঠছে প্রশ্ন
২১ মার্চ রাতে, বগটুই মোড়ে, এভাবেই বোমা মেরে খুন করা হয় তৃণমূলের (TMC) উপপ্রধান ভাদু শেখকে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ভাদু সবসময় সঙ্গী এবং ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীদের ঘেরাটোপে থাকতেন। কিন্তু সিসিটিভি ফুটেজে, খুনের সময় কাউকে ভাদুর কাছে দেখা যায়নি। বরং বোমা মেরে দুষ্কৃতীরা পালানোর পর ভাদুকে একা পড়ে থাকতে দেখা যায়।
তাহলে হামলার সময় ভাদুর সঙ্গীরা কোথায় ছিল? এ প্রসঙ্গেই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে এবিপি আনন্দর অন্তর্তদন্তে। ভাদু শেখকে যখন বোমা মেরে খুন করা হয়, তখন তাঁর সঙ্গীরা একটু দূরে মিষ্টি খাচ্ছিলেন বলে সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, খুনের দিন আগাম ২ লক্ষ টাকা দিয়ে একটি জমির চুক্তি পাকা করেন ভাদু শেখ। সহযোগীরা ভাদুর কাছে মিষ্টি খেতে চাইলে ভাদু তাঁদের টাকা দিয়ে দেন।
এরপর তাঁরা বগটুই মোড় (Bogtui) থেকে ৮০ মিটার দূরে একটি দোকানে মিষ্টি আর সিঙ্গারা খেতে চলে যান। ওই মিষ্টির দোকানের এক কর্মী জানান, ৬ জন মিষ্টি খেতে এসেছিলেন। একপ্লেট করে মিষ্টি আর সিঙ্গারা অর্ডার করেন। ভাদুর সঙ্গীরা যখন এই দোকানে দাঁড়িয়ে মিষ্টি খাচ্ছে, তখনই হঠাৎ কানে আসে বিস্ফোরণের শব্দ।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, বোমা মেরে দুষ্কৃতীরা মোটর সাইকেলে চেপে পালিয়ে যায়। তার মিনিটখানেক বাদে ভাদুর কাছে ছুটে আসেন তাঁর সঙ্গীরা। তৃণমূল কাউন্সিলর অশ্বিনী তিওয়ারি জানিয়েছেন, ভাদুর ছেলেদের সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। ঘটনার সময় তাঁরা মিষ্টির দোকানেই ছিলেন।
ভাদু একা রয়েছেন, সে কথাই বা জানলেন কী করে দুষ্কৃতীরা, উত্তর অধরা
এখানেই নানা মহলে প্রশ্ন উঠছে যে, ভাদু নিরাপত্তার ঘেরাটোপের বাইরে বেরোবেন, এটা আততায়ীরা জানল কী করে? ভাদু যে একা, এই খবর কি তাঁরই ঘনিষ্ঠ কেউ আততায়ীদের কাছে পৌঁছে দিয়েছিল? এ ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারত, মিষ্টির দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ। কিন্তু, মিষ্টির দোকানের মালিকের দাবি, পুলিশ তাঁর দোকানে আসেনি। মিষ্টির দোকানের মালিক জানিয়েছেন, পুলিশ-সিবিআই কেউ আসেনি। আর সিসিটিভি ফুটেজ তো সাতদিনের থাকে! তাই তদন্তে নেমে সিবিআই কী করে, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।