(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Bhawanipur Murder Update: ভবানীপুরে ব্যবসায়ী দম্পতি খুনে উত্তরপ্রদেশ ও ওড়িশা থেকে আরও গ্রেফতার ২
পুলিশের দাবি, ভবানীপুরে ব্যবসায়ী অশোক শাহ ও তাঁর স্ত্রী রশ্মিতাকে খুনের পরেই লিলুয়ায় চলে যায় বিশাল। পরে ট্রেনে চড়ে পালায় উত্তরপ্রদেশে।
কলকাতা: ভবানীপুরে ব্যবসায়ী দম্পতি খুনের ঘটনায় চতুর্থ এবং পঞ্চম জন গ্রেফতার। ধৃত বিশাল বর্মন জোড়া খুনে জড়িত ছিল বলে দাবি পুলিশের। উত্তরপ্রদেশের মথুরা থেকে গতকাল গভীর রাতে ওই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, ভবানীপুরে ব্যবসায়ী অশোক শা ও তাঁর স্ত্রী রশ্মিতাকে খুনের পরেই লিলুয়ায় চলে যায় বিশাল। পরে ট্রেনে চড়ে পালায় উত্তরপ্রদেশে। ধৃত ৩ জনকে জেরা করে বিশালের হদিশ মিলেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। অন্যদিকে পুলিশ সূত্রে দাবি, সন্তোষ ওরফে রাহুল নামে ওই দুষ্কৃতীকে খুনের আগের দিন ডাকা হয়। ওড়িশা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
খুনের কারণ? মাত্র ১ লক্ষ টাকার জন্য ভবানীপুরের দম্পতিকে খুন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। যদিও, এখনও মূল ষড়যন্ত্রীকে গ্রেফতার করা যায়নি। প্রশ্ন উঠছে, শুধুমাত্র ১ লক্ষ টাকার জন্য খুন করা হল? মাস্টারমাইন্ড গ্রেফতার হলে, তখন খুনের আরও কোনও কারণ উঠে আসবে না তো? তদন্তকারীদের দাবি, রীতিমতো পরিকল্পনা করে খুন করা হয়।
পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ: ধৃতদের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এর আগে গ্রেফতার করা হয়েছে ৩ জনকে। পুলিশ সূত্রে দাবি, খুনের মাস্টারমাইন্ড নিহত গুজরাতি দম্পতির মেজ জামাইয়ের দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়। সে ভিনরাজ্যে পালিয়েছে। পুলিশ তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছিল বলেই খবর।
তিনদিনের মাথায় ভবানীপুরে গুজরাতি দম্পতিকে খুনের কিনারা করল পুলিশ। গ্রেফতার ৩। এখনও অধরা খুনের মাস্টারমাইন্ড। পুলিশের দাবি, ধারের টাকা ফেরত চাওয়াতেই ব্যবসায়ী দম্পতিকে খুন। গোটা পরিকল্পনার মাস্টারমাইন্ড নিহতের মেজো জামাইয়ের দূর সম্পর্কের আত্মীয়।
মাস্টারমাইন্ডের সঙ্গেই বাড়িতে ঢোকে ভাড়াটে খুনিরা: পুলিশের দাবি, শাহ দম্পতিকে খুনের ছক পূর্ব পরিকল্পিত। খুনের দিন মেজো জামাইয়ের ওই আত্মীয়কে দেখেই দরজা খোলেন শাহ দম্পতি। মাস্টারমাইন্ডের সঙ্গেই বাড়িতে ঢোকে ভাড়াটে খুনিরা। টাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে বচসার জেরে প্রথমে অশোক শা-কে তারা কোপাতে শুরু করে। এরপর ব্যবসায়ীর স্ত্রীকে মাথায় গুলি করে খুন করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত সুবোধ সিং, যতীন মেহতা ও রত্নাকর নাথ খুনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। ধৃত তিনজনই হাওড়ার লিলুয়ার বাসিন্দা।
পুলিশ সূত্রে খবর, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়। পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখার পর নিশ্চিত হয় পুলিশ। গতকাল লালবাজারে এনে রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর বয়ানে অসঙ্গতি মেলায় ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের জেরা করে তৃতীয় ব্যক্তির হদিশ পায় পুলিশ।