Birati Youth Death: ট্রেনের গেটে দাঁড়ানো নিয়ে বচসা থেকে মারধর, প্রাণ গেল বিরাটির বাসিন্দা যুবকের
Youth Death: অভিযোগ মারধর করে স্টেশনের ওভারব্রিজ থেকে রেললাইনে ফেলে দেয় অভিযুক্ত। ঘটনার তিন দিন পর হাসপাতালে মৃত্যু হয় আহত যুবকের। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে।

ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, বিরাটি: ট্রেনের গেটে দাঁড়ানো নিয়ে বচসা থেকে যাত্রীকে মারধরের অভিযোগ। বিরাটি স্টেশনে মারধরে গুরুতর জখম বেসরকারি ব্যাঙ্ক কর্মীর মৃত্যু। অভিযোগ মারধর করে স্টেশনের ওভারব্রিজ থেকে রেললাইনে ফেলে দেয় অভিযুক্ত। ঘটনার তিন দিন পর হাসপাতালে মৃত্যু হয় আহত যুবকের। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে।
গত ৩১ মে ঘটনার সূত্রপাত। ট্রেনের গেটে দাঁড়ানো নিয়ে শুরু হয় বচসা। আর সেই বচসা থেকে এক যুবককে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বিরাটি স্টেশনে ট্রেন থামতেই গোপাল দাস নামে ওই যুবককে বেধড়ক মারা হয়। অভিযোগ এরপর রেল ওভারব্রিজ থেকে তাঁকে রেললাইনে ফেলে দেয় অভিযুক্ত। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। গতকাল সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। বিরাটির বাসিন্দা ওই যুবকের পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে একজনকে গ্রেফতার করেছে বারাসাত জিআরপি। স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিহত যুবকের স্ত্রী বলেন, "নৃশংসভাবে ওঁকে মেরেছে। কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তি যেন হয়। আমার বয়স্ক বাবা মা। দেখার মতো আর কেউ নেই। ওঁ একাই ছিল। তাঁকে কেড়ে নিল। আমরা চাই অপরাধীর শাস্তি হোক। আমি ফাঁসি দাবি করছি।''
এদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের বকুলতলায় এক প্রতিবাদী যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ২জনকে। মোক্তার নস্কর ও কুতুবুদ্দিন নস্কর কে গ্রেফতার করল বকুলতলা থানা। যে ১৩ জনের বিরুদ্ধে FIR করা হয়েছিল, তাদের মধ্যে নাম রয়েছে এই দুজনেরও। ধৃতরা দীর্ঘদিন ধরে চুরি, ছিনতাই সহ একাধিক অপরাধের সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি নিহতের পরিবারের সদস্যদের। এর আগেও একাধিকবার অভিযুক্তরা মত্ত অবস্থায় অশান্তি করেছে বলেও দাবি তাঁদের। স্থানীয়দের দাবি, রবিবার জয়নগরের বকুলতলার বুইচবাটি এলাকায় পাশের গ্রাম থেকে কয়েকজন মত্ত অবস্থায় এসে অশালীন আচরণ শুরু করে। স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলে তুমুল বচসা থেকে হাতাহাতি বেধে যায়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গতকাল সকালে পাশের রূপনগর গ্রাম থেকে ফের বুইচবাটিতে আসে রবিবারের মত্ত দুষ্কৃতীরা। প্রতিবাদীদের উপর চড়াও হয়ে তাঁদের বেধড়ক মারধর করা বলে অভিযোগ। গুরুতর আহত হন সায়েম খান। কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে আসার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। প্রতিবাদীর মৃত্যুর পরে গতকাল দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জয়নগরের বকুলতলা। রাস্তায় দেহ রেখে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসী। পরিস্থিতি সামাল দিতে এসে বিক্ষেভের মুখে পড়ে পুলিশ। ঝাঁটা, লাঠি নিয়ে পুলিশের দিকে তেড়ে যান মহিলারা। অবশেষে রাতে পুলিশের আশ্বাসে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। দেহ ময়নাতন্তের জন্য পাঠায় তদন্তকারীরা। থমথমে এলাকায় এখনও চাপা উত্তেজনা রয়েছে। এলাকায় মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।






















