Cow Smuggling Case: গরুপাচার মামলায় সিবিআইয়ের নজরে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান
বিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডলের কোটি টাকার লটারি জেতার নেপথ্যের কারিগর এই তৃণমূল নেতা।
আবীর দত্ত, কলকাতা: গরুপাচার মামলায় এবার বীরভূমে সিবিআইয়ের নজরে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান। এদিন অস্থায়ী ক্যাম্পে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বোলপুরের বাহিরি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান শুভঙ্কর ঘোষ ওরফে ভজনকে। সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডলের কোটি টাকার লটারি জেতার নেপথ্যের কারিগর এই তৃণমূল নেতা। এর বিনিময়ে তৃণমূল নেতা কী পেয়েছেন, তা জানতে চায় সিবিআই।
খাতায় কলমে এখনও তিনি তৃণমূলের জেলা সভাপতি (TMC)। কিছু দিন আগে পর্যন্ত তাঁর প্রতি রক্ষণাত্মক অবস্থান ছিল সকলের। কিন্তু দলনেত্রীর (Mamata Banerjee) বীরভূম সফরে (Birbhum News), প্রচারের জন্য় যে পোস্টার, প্ল্য়াকার্ড, তোরণ, ফেস্টুন করা হয়েছে, তাতে কোথাও উল্লেখ পর্যন্ত নেই অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) ছবি। তার পরিবর্তে বরং জায়গা পেয়েছ, চন্দ্রনাথ সিনহা, বিকাশ রায়চৌধুরীদের ছবি।
পোস্টার, প্ল্য়াকার্ড, তোরণ, ফেস্টুনে ব্রাত্য অনুব্রত!
এ যেন ঘরের মাঠে বড় ম্য়াচে নেই ঘরের ছেলেই। গরুপাচার মামলায় অনুব্রতর গ্রেফতার হওয়ার পর সোমবারই প্রথম বার বীরভূম সফরে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেখানে বোলপুর থেকে শান্তিনিকেতন, দলের প্রচারে ধরা পড়েছে সম্পূর্ণ এক অচেনা ছবি।
তৃণমূলের তৈরি করা বিভিন্ন গেট ও অসংখ্য ব্যানার-ফেস্টুনে কোথাও দেখা নেই অনুব্রতর ছবির।
সোমবার জেলায় যখন হইহই রইরই, সেই সময় মমতা, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়, ফিরহাদ হাকিমের পাশে জেলার দুই বিধায়ক চন্দ্রনাথ এবং বিকাশের ছবিও চোখে পড়ে। কিন্তু এ যাবৎ বীরভূমে মমতার স্নেহভাজন এবং বিশ্বস্ত সেনাপতি অনুব্রতর ছবি কার্যতই উধাও ছিল।
সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর বীরভূম সফরের আগে গত ২৫ জানুয়ারি বৈঠকে বসে জেলা তৃণমূলের কোর কমিটি। সূত্রের দাবি, সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, মমতার সফরের সময় অনুব্রতর কোনও ছবি কোথাও ব্যবহার করা হবে না।
যদিও এ নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের শীর্ষস্থানীয় নেতা ফিরহাদ বলেন, "ও আসেনি বলে ছবি নেই। ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে ওকে। আইন আইনের পথে চলবে। আজ অনুব্রতকে নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। দিদি শুধু জানতে চাইলেন, ওর মেয়ে কেমন আছেন।"
অনুব্রতর এই অনুপস্থিতি নজর এড়ায়নি কারও
মমতার বীরভূম সফরে অনুব্রতর এই অনুপস্থিতি নজর এড়ায়নি কারও। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বীরভূমের রাজনীতিতে অনুব্র্ত মণ্ডলকে ছেটে ফেলা, আবার জেলবন্দি অবস্থায় বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে মাথায় তোলা, কোনওটিই সহজ কাজ নয়। তবে অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পরও, দীর্ঘ সময় তাঁর পাশে থাকতে দেখা গিয়েছিল দলীয় নেতৃত্বকে। খোদ মমতা তাঁর পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন। অনুব্রতকে বাঘের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন ফিরহাদ। কিন্তু মমতার বীরভূম সফরে অনুব্রতর এই ব্রাত্য থাকা, নজর কেড়েছে সকলেরই। অনুব্রতর অনুপস্থিতিতে এমনিতেই বীরভূমে তৃণমূলের সংগঠন নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এমন পরিস্থিতিতে তাঁকে নিয়ে আগামী দিনে তৃণমূল কোন পথে হাঁটে, সে দিকে নজর সকলেরই।