(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Birbhum: শান্তিনিকেতনে হচ্ছে পৌষ মেলা! আয়োজনে কারা জানেন?
Poush Mela: পৌষে শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা দেশ-বিদেশের পর্যটকদের আকর্ষণ। তাই আসরে নেমেছে জেলা প্রশাসন
ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: এবার পৌষ মেলার (Poush Mela) আয়োজন করা হবে না। সম্প্রতি এমনটাই জানিয়ে দিয়েছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এবং শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। পৌষে শান্তিনিকেতনের (Shantiniketan) পৌষমেলা দেশ-বিদেশের পর্যটকদের আকর্ষণ। সেটা এবারও না হওয়ায় মন খারাপের আবহ তৈরি হয়েছিল। এবার আসরে নামল বীরভূমের (birbhum) জেলা প্রশাসনের। প্রথমে বিশ্বভারতীর কাছে পূর্বপল্লীর মাঠ চাওয়া হবে। না দিলে বোলপুরের ডাকবাংলো মাঠে হবে বিকল্প পৌষ মেলা, এমনটাই জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
শুক্রবার বোলপুর মহকুমা শাসকের অফিসের কনফারেন্স হলে দীর্ঘ বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রথমে বিশ্বভারতীর কাছে পূর্বপল্লীর মাঠ চাওয়া হবে মেলা করার জন্য। না দিলে বোলপুরের ডাকবাংলো মাঠে হবে বিকল্প পৌষ মেলা। প্রসঙ্গত, গত দু-বছর এই মাঠেই বিকল্প পৌষ মেলার আয়োজন করে আসছে জেলা প্রশাসন।
বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছিল সময় কম থাকার জন্য তারা এবার পৌষ মেলা করবে না। এর পরেই বিশ্বভারতীতে বিক্ষোভ দেখায় বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ, বোলপুর ব্যবসায়ী সঙ্ঘ এবং কবিগুরু হস্তশিল্প মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। এমনকি গেটের তালা ভেঙে তারা বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে চলে আসে। দীর্ঘক্ষণ এই বিক্ষোভ চলে। কিন্তু বিশ্বভারতী তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করবে না বলে জানিয়ে দেয়। এর পরেই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বোলপুরে বৈঠক ডাকা হয়। সেখানে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা সহ একাধিক বিধায়ক, বোলপুর পুরসভা, একাধিক সরকারি দফতরের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এবছর শান্তিনিকেতনে (Santiniketan) পৌষ মেলা (Poush Mela) হচ্ছে না বলে জানিয়ে দিয়েছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ (Visva Bharati) এবং শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট (Santiniketan Trust)। প্রায় ৩ঘন্টা বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মেলা না হওয়ার কারণ হিসাবে পাঁচটি বিষয় তুলে ধরা হয়েছিল। বলা হয়েছিল তার মধ্যে অন্যতম, মেলা আয়োজন করতে যে সময় লাগে, তা নেই। অনলাইনে স্টল বুকিং করার জন্য IIT খড়গপুরের সাহায্য চাওয়া হয়েছিল। তার কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি বলে জানানো হয়েছিল। তাছাড়া, গ্রিন ট্রাইবুনালের তরফেও মেলা নিয়ে কোনও নির্দেশ আসেনি বলে অভিযোগ। এই প্রেক্ষাপটে, শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট জানিয়ে দিয়েছিল ছোট মেলা করা আর্থিকভাবে লাভজনক নয়। কম সময় থাকার জন্য ইলেকট্রিক, পানীয় জল, নিরাপত্তা-সহ বিভিন্ন আয়োজন করা বিশ্বভারতী কতৃপক্ষের পক্ষে করা সম্ভব নয়, তারপরেই বলা হয় মেলা করা হবে না।
আরও পড়ুন: হাতে টানলেই উঠে আসছে পিচ! কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ বাসিন্দাদের