Anubrata Mandal: অনুব্রতর বিরুদ্ধে 'খুনের চেষ্টা'-র মামলায় ৩ দিন পার, শিবঠাকুরের 'বয়ান রেকর্ড করেনি পুলিশ'
Sibthakur Mandal on Anubrata Mandal: 'তৃণমূল পার্টি অফিসে ডেকে দরজায় তালা দিয়ে গলা টিপে খুনের চেষ্টা'-র অভিযোগ। ৩ দিন পরেও, বয়ান রেকর্ড করেনি পুলিশ, কী বললেন অভিযোগকারী শিবঠাকুর মণ্ডল ?
বীরভূম: অনুব্রতর (Anubrata Mandal) বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলায় ৩ দিন পরেও, অভিযোগকারীর বয়ান রেকর্ড করেনি পুলিশ (Police)। খোদ অভিযোগকারী শিবঠাকুর মণ্ডল এ কথা জানিয়েছেন। 'তৃণমূল পার্টি অফিসে ডেকে দরজায় তালা দিয়ে গলা টিপে খুনের চেষ্টা'-র অভিযোগ। অনুব্রতর নিরাপত্তা রক্ষী উপস্থিত থাকলেও, তিনি নির্বিকার ছিলেন বলে অভিযোগ। যদিও অভিযোগকারীর দাবি, ওই নিরাপত্তা রক্ষী সায়গল হোসেন নন। অভিযোগপত্রে ঘটনার দিন মে মাসের গোড়ায় বলে দাবি । এবিপি আনন্দর প্রশ্নের জবাবে বিধানসভা ভোটের আগে ঘটনাটি ঘটে বলে উল্লেখ। অনুব্রতকে গ্রেফতারের ৯৮ দিন পর, অভিযোগ জানালেন কেন? অভিযোগকারীর দাবি, গীতাপাঠ করে সাহস সঞ্চয়ের পর থানায় গিয়েছেন।
তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান শিবঠাকুরের দাবি, বর্তমানে জেলবন্দি অনুব্রত, তাই অভিযোগ করেছেন। এর আগে ২০১৩-য় তৃণমূল পরিচালিত বালিজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হন শিবঠাকুর মণ্ডল। আড়াই বছর পর, অনাস্থা এনে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ঠিক ৬ মাস পর, অনাস্থা এনে ফের প্রধান করা হয় শিবঠাকুরকে। ২০১৮-র পঞ্চায়েত ভোটের আগে পর্যন্ত তৃণমূলের প্রধান ছিলেন তিনি। ২০১৮-য় পঞ্চায়েতে টিকিট পাওয়া নিয়ে সমস্যা হয়। দলের সঙ্গে মনোমালিন্য শুরু হয়ে বলে অভিযোগ প্রাক্তন তৃণমূল প্রধানের। অভিযোগ, এরপর একুশের বিধানসভা ভোটে বিজেপিতে যোগদানের সম্ভাবনার কথা শুনে অনুব্রত তাঁকে ডেকে পাঠিয়ে মারধর করেন।
গরুপাচার মামলায় অনুব্রত-যোগের তদন্তে আচমকা নতুন মোড়! মোক্ষম সময়ে এক বছরের পুরনো অভিযোগ, হঠাৎ চাগাড় দিয়ে ওঠায়, রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনার আলোড়ন তৈরি হয়েছে। দীর্ঘ আইনি টানাপোড়েনের পর, সোমবারই অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার ছাড়পত্র পেয়েছিল ইডি। কিন্তু, তার ২৪ ঘণ্টার মধ্য়েই পুরনো মামলায় এক সপ্তাহের পুলিশ হেফাজত হল বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতার। অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছেন তৃণমূলের বীরভূমেরই এক প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান।
আরও পড়ুন, 'আসানসোল অঘটনের সময় পালিয়ে গেল শুভেন্দু', টুইটে মন্তব্য কুণালের
আর সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে দাপুটে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে দুবরাজপুর থানার পুলিশ। মঙ্গলবার সেই মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিল দুবরাজপুর আদালত। ৪ মাস পর নিজের জেলায় অনুব্রত মণ্ডল। গতকাল দুবরাজপুর আদালতে তাঁকে দেখতে তৃণমূল নেতাদের ভিড়। সকাল থেকে আদালত চত্বরে উপস্থিত দুবরাজপুর পুরসভার চেয়ারম্যান পীযূষ পাণ্ডে ও ৩ তৃণমূল কাউন্সিলর। বুকে অনুব্রত, অভিষেক-মমতার ছবি সেঁটে, হাতে ফুলের তোড়া নিয়ে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে দুবরাজপুর পুরসভার কর্মী রঞ্জিত গড়াই। মঙ্গলবার সকালে আসানসোল জেল থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে যাওয়া হয় দুবরাজপুরে।