Birbhum News: ২০ দিন ধরে নিখোঁজ ছাত্রীর বস্তাবন্দি দেহাংশ উদ্ধার রামপুরহাটে, গ্রেফতার স্কুল শিক্ষক
Rampurhat: কী কারণে ১৩ বছরের নাবালিকাকে খুন, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। নিহত ছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল অভিযুক্ত শিক্ষক, দাবি পরিবারের।

ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম : ২০ দিন ধরে নিখোঁজ ছাত্রীর বস্তাবন্দি দেহাংশ উদ্ধার। একটি বস্তায় মুণ্ড, আরেকটি বস্তায় বাকি দেহাংশ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি পরিবারের। বীরভূমের রামপুরহাটের এই ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে এক স্কুল শিক্ষককে। গত ২৮ অগাস্ট রামপুরহাটে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয় সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। গতকাল রামপুরহাটে জঙ্গলের পাশে কালভার্টের নীচে তার বস্তাবন্দি দেহাংশ উদ্ধার হয়েছে। কী কারণে ১৩ বছরের নাবালিকাকে খুন করা হল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। নিহত ছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল অভিযুক্ত শিক্ষক, দাবি পরিবারের। ২টি বস্তায় ছাত্রীর দেহাংশ উদ্ধার হয়েছে, ধৃতের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করে তদন্তে পুলিশ।
ছাত্রীর পরিবারের দাবি, গ্রেফতার হওয়া শিক্ষক নিহত ছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। বর্তমানে ছাত্রী নাবালিকা। সে প্রাপ্তবয়স্ক হলে, তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এই স্কুল শিক্ষক। গত ২৮ অগস্ট এই স্কুল শিক্ষক ওই ছাত্রীকে হেলমেট পরিয়ে নিজের বাইকে বসিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন বলে খবর। তবে কোথায় নিয়ে গিয়েছিলেন, তা জানা যায়নি। এছাড়াও কেন এবং কীভাবে এই ছাত্রীকে ওই স্কুল শিক্ষক খুন করেছেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। আগামী ২৬ তারিখ অভিযুক্ত শিক্ষকে রামপুরহাট আদালতে তোলা হবে বলে খবর। জোরকদমে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। কী কারণে এবং কীভাবে ওই অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষক এই নাবালিকা ছাত্রীকে খুন করেছেন, তা জানার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, ধৃত চিকিৎসক ফিজিক্স অর্থাৎ পদার্থবিদ্যা পড়ান।
গত ২৮ অগস্ট নিখোঁজ হয় বছর ১৩- র সপ্তম শ্রেণির এই ছাত্রী। যথেষ্ট নিখুঁত ভাবে তাকে খুন করা হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের। কারণ ছাত্রীর দেহ তিনটি অংশে কাটা হয়েছে। গলা পর্যন্ত একটি অংশ, তার নীচ থেকে কোমর পর্যন্ত একটি অংশ, আর তার তলায় বাকি নীচের দেহাংশ। এই নিম্নাংশ এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি বলেই খবর। বাকি দু'টি দেহাংশ অর্থাৎ মুণ্ড এবং তার নীচের অংশ ২টি আলাদা বস্তার মধ্যে বন্দি অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে। অপহরণ খুন, প্রমাণ লোপাট - এই তিন ধারায় ধৃতের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। যেহেতু দেহের নিম্নাংশ এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি, তাই এখনই ধর্ষণের অভিযোগে কোনও মামলা দায়ের হয়নি ধৃতের বিরুদ্ধে। ধারাল অস্ত্র দিয়ে নাবালিকা ছাত্রীকে খুন করা হয়েছে। সেই অস্ত্রেরও খঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে।





















