TMC Leader Controversy: 'ডান্ডা দিয়ে ঠান্ডা করে দেবে' এবার বিতর্কে বীরভূমের তৃণমূল নেতা
Birbhum News: বিতর্কিত মন্তব্য করেন তৃণমূল নেতা ও ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সঙ্গীতা দাসের স্বামী বাবু দাস।

ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। এরই মধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে হুমকি-হুঁশিয়ারি-কুকথার রাজনীতি। এবার বিতর্ক বাঁধালেন বীরভূমের বোলপুর পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলেরর স্বামী ও তৃণমূল নেতা বাবু দাস। এনিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
সোমবার বোলপুর পুরসভার ১নং ওয়ার্ডে ছিল তৃণমূলের কর্মী সম্মেলন। এই সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন তৃণমূল নেতা ও ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সঙ্গীতা দাসের স্বামী বাবু দাস। তিনি বলেন, "যে সব মুখোশধারী বন্ধুরা আশেপাশে আছেন, আমার বক্তৃতা তাদের কানে যাচ্ছে, আপনারা কান খুলে শুনে রাখুন- আমরা অনেক উন্নয়ন দিয়েছি, অনেক আদর দিয়েছি, অনেক সোহাগ দিয়েছি, এবার ২০২৬-এর ভোটে বাবু দাস বলে যাচ্ছি ...রাখব। বিজেপি যারা করবে, যারা মা-বোনেদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করার চেষ্টা করবে, যারা বাংলা এই এক নম্বর ওয়ার্ডে দাঙ্গা লাগাবার চেষ্টা করবে তাদেরকে ডান্ডা দিয়ে ঠান্ডা করে দেবে আমাদের মহিলা তৃণমূলের কংগ্রেসের কর্মীরা। কোনও রকম তারা তাদের সঙ্গে আপস করবে না।''
বাবু দাস বোলপুরের তৃণমূল বিধায়ক ও কারামন্ত্রীর চন্দ্রনাথ সিনহার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তৃণমূল নেতা যখন এই বিতর্কিত মন্তব্য করেন, তখন মঞ্চে ছিলেন তৃণমূলের বোলপুর টাউন সভাপতি সুকান্ত হাজরা। রূপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এলিনা খাতুন। বোলপুর পুরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সঙ্গীতা দাস। এনিয়ে তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি। রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলেন, "না, না এটা বিতর্কিত নয়, এটাই তো তৃণমূলের কর্মসূচি, এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি, এটাই তৃণমূলের রুচি, এটাই অ্যাজেন্ডা। ও পুরস্কৃত হবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যা ওকে কালীঘাটে ডেকেও পাঠাতে পারে। এত সুন্দর ভাবে, এত মিষ্টি করে আক্রমণ করেছে, ডাকবে না ওকে!''
তবে নিজের বক্তব্য থেকে সরতে রাজি নন তৃণমূল নেতা। এবিষয়ে চন্দ্রনাথ সিনহার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া না গেলেও সিউড়ির বিধায়ক ও তৃণমূলের কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী জানিয়েছেন, তৃণমূল নেতার এই বক্তব্যকে সমর্থন করে না দল। ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটের আগে, বোমা মারার হুমকি দিয়ে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তারপর থেকে রাজ্য রাজনীতিতে বারবার ঝড় তুলেছে তাঁর নানা হুমকি-হুঁশিয়ারি। ২১-এর বিধানসভা ভোটে অনুব্রতর মুখে উচ্চারিত এই শব্দবন্ধ ভাইরাল হয়। কয়েকদিন আগেই মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে IC-কে পাশে বসিয়ে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ (এ)-র তৃণমূল ব্লক সভাপতি বলেন, আগামী বিধানসভায় জোরদার খেলা হবে। সেখানে রেফারি বা লাল কার্ড থাকবে না। ২ বছরেরও বেশি সময় তিহাড়ে বন্দি থাকার পর এলাকায় ফিরেছেন অনুব্রত মণ্ডল। আস্তে আস্তে পুরনো মেজাজে ফিরছেন তৃণমূল জেলা সভাপতি। হুমকি-হুঁশিয়ারির ট্র্যাডিশন বজায় রেখেছেন, জেলার নেতারা।
আরও পড়ুন: East Burdwan: জনবহুল রাস্তায় অস্ত্রের কোপ, কালনায় যুবকের গলার নলি কেটে খুন
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
