Anarul Hossain Update: আনারুল হোসেনের শারীরিক অবস্থার অবনতি, রামপুরহাট থেকে বর্ধমানে সরানো হল বগটুই-অভিযুক্তকে
Bogtui Fire: বগটুইকাণ্ডের তদন্তে নেমে গত ২৫ মার্চ, আনারুলকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (CBI)।
নান্টু পাল, বীরভূম: বগটুইকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল (TMC) নেতা আনারুল হোসেনের (Anarul Hossain) শারীরিক অবস্থার অবনতি। রামপুরহাট (Rampurhat) মেডিক্যাল কলেজ থেকে বর্ধমান মেডিক্য়াল কলেজে স্থানান্তরিত করা হল তাঁকে। বৃহস্পতিবার সকাল সকাল রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিট থেকে বার করে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। উচ্চ রক্তচাপ, সুগার-সহ তাঁর একাধিক সমস্যা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আনারুলের শারীরিক অবস্থার অবনতি
বুকে ব্যথা অনুভব করায় সোমবার রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয় আনারুলকে। বগটুইকাণ্ডের তদন্তে নেমে গত ২৫ মার্চ, আনারুলকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (CBI)। সেই থেকে তিনি জেল হেফাজতে রয়েছেন। তার মধ্যেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হল।
এর আগে, এপ্রিলের শেষ দিকে জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন আনারুল। কিন্তু তাঁর আবেদন খারিজ হয়ে যায়। বরং বাড়ানো হয় জেল হেফাজতের মেয়াদ। জেলে তিনি বিশেষ সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন বলেও অভিযোগ সামনে এসেছিল। অগ্নি সংযোগের ঘটনায় স্বজনহারা মিহিলাল শেখ এ নিয়ে অভিযোগ তোলেন। কিন্তু সব অভিযোগ মিথ্যে বলে জানান আনারুল। তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার বলে দাবি করেন।
আরও পড়ুন: Primary TET: চন্দন মণ্ডলই আসলে রঞ্জন, কোর্টে খোলসা করলেন উপেন
বগটুইকাণ্ডে আনারুলের ভূমিকা নিয়ে প্রথম থেকেই প্রশ্ন ওঠে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শেষ পর্ন্ত গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। কিন্তু আনারুলের দাবি, তিনি নির্দোষ। ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে তাঁকে।
বগটুইকাণ্ডে আনারুলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে
ভাদু শেখ খুনের রাতই বগটুইটে বন্ধ ঘরে পুড়িয়ে মারা হয় শিশু-সহ কয়েক জনকে। সেই ঘটনাই বরাবরই আনারুলের দিকে আঙুল তুলে এসেছেন গ্রামের মানুষ জন। তাঁদের দাবি, ওই রাতে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছিল। কান্নাকাটি চলছিল ভাদু শেখের বাড়িতে। আনারুলই গ্রামে পুলিশ ঢুকতে দেননি। চারিদিকে বোমাও ফাটছিল বলে অভিযোগ করেন গ্রামবাসীরা।