Rampurhat Violence Live Updates: রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে সিবিআই তদন্ত নিয়ে তুঙ্গে তরজা, আঁতাঁতের অভিযোগে সরব তৃণমূল
Calcutta High Court: রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডের তদন্তভার সিবিআইকে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ বিচারের স্বার্থে এবং মানুষের মধ্যে আস্থা ফেরাতে সিবিআইকে তদন্তভার দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে আদালত।
LIVE
Background
সৌভিক মজুমদার, প্রকাশ সিনহা ও রঞ্জিৎ সাউ, কলকাতা ও রামপুরহাট: রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে (Rampurhat Violence) সিবিআই তদন্তের (CBI Probe) নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আর কোনও তদন্ত করবে না রাজ্য সরকারের (West Bengal Government) তৈরি করা বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট (SIT)। ধৃতদের সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ারও নির্দেশ দিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোের্টের নির্দেশ, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ বিচারের স্বার্থে এবং মানুষের মধ্যে আস্থা ফেরাতে সিবিআইকে তদন্তের ভার দেওয়া হচ্ছে।
নিরপেক্ষ কোনও এজেন্সিকে দিয়ে রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডের তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে পাঁচটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। এর মধ্যে ছিল সিপিএম-বিজেপি ও কংগ্রেসের করা মামলাও। রামপুরহাটকাণ্ডে হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে একটি মামলা শুরু করে। সবকটি মামলা এক সঙ্গে শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে। মামলার রায়ে আদালত বলে, ‘অবিলম্বে এই মামলার তদন্তভার সিবিআইকে দিতে হবে। যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক, মর্মান্তিক ও ভয়াবহ।’
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ বিচারের স্বার্থে এবং মানুষের মধ্যে আস্থা ফেরাতে সিবিআইকে তদন্তের ভার দেওয়া হচ্ছে। রাজ্য সরকার আর কোনও তদন্ত করবে না। এখনও পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য প্রমাণ এবং ধৃতদের সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে হবে। ৭ এপ্রিলের মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে হবে সিবিআইকে।’
কলকাতা হাইকোর্ট পর্যবেক্ষণে আরও বলেছে, ‘মঙ্গলবার, সিট গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত সিটের তরফে কোনও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। অভিযোগ করা হয়, ঘটনাস্থল থানা থেকে অত্যন্ত কাছে হওয়া সত্ত্বেও, পুলিশ অগ্নিদগ্ধ মানুষদের উদ্ধার করতে সময় মতো পৌঁছয়নি। মামলাকারীর আইনজীবীরা অভিযোগ করেন, যেভাবে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন ছিল তা হয়নি। কত মানুষ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল তা নিশ্চিত করার জন্য টাওয়ার ডাম্পিং টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়নি। নমুনা সংগ্রহের ভিডিওগ্রাফি করা এবং ১৬১ ও ১৬৪ ধারায় প্রত্যক্ষদর্শীদের গোপন জবানবন্দি নেওয়ার ক্ষেত্রে গাফিলতি রয়েছে। মৃত্যুকালীন জবানবন্দি নেওয়ার ক্ষেত্রে উপযুক্ত নিয়ম মানা হয়নি বলেও অভিযোগ। অভিযোগ খতিয়ে দেখে আমরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে, মামলার গুরুত্ব অনুযায়ী যে পদ্ধতিতে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন ছিল, তা হয়নি।’
৭ এপ্রিল ফের এই মামলার শুনানি হবে কলকাতা হাইকোর্টে।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ পাওয়ার পরই, পুলিশের করা এফআইআর ও অভিযোগপত্রের কপি চেয়ে বীরভূমের পুলিশ সুপারকে ই-মেল করে সিবিআই। সেগুলি পাওয়ার পর এফআইআর করে তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। বীরভূমে পৌঁছেছে সিবিআইয়ের দল। তদন্তকারী দলে রয়েছেন ১৫ জন। তার মধ্যে সিবিআইয়ের একজন এসপি এবং কয়েকজন ডিএসপি পদমর্যদার অফিসার রয়েছেন।
অন্যদিকে, রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে গেলে যাতে একতরফা শুনানি যেন না হয়, তার জন্য ক্যাভিয়েট দাখিল করেছেন অনিন্দ্যসুন্দর দাস এবং কংগ্রেসের প্রীতি কর।
Rampurhat Violence: বগটুইকাণ্ডে রাজ্য সরকারের আর্থিক সাহায্য নিয়ে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা
বগটুইকাণ্ডে রাজ্য সরকারের আর্থিক সাহায্য নিয়ে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা
Birbhum Fire Live Updates: এখনও আতঙ্কের অন্ধকারে ঢাকা রামপুরহাটের বগটুই গ্রাম
ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের পরে ৫ দিন কেটে গেছে। এখনও আতঙ্কের অন্ধকারে ঢাকা রামপুরহাটের বগটুই গ্রাম। বহু বাড়িতে তালা ঝুলছে। গ্রামে পুলিশের ক্যাম্প বসলেও, সাহস করে বাড়ি ফিরতে পারছেন না অনেকে।
Rampurhat Violence: রামপুরহাটকাণ্ডে পুলিশ-তৃণমূলের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছে সিপিএম
রামপুরহাটকাণ্ডে পুলিশ-তৃণমূলের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছে সিপিএম
Birbhum Fire Live Updates: রামপুরহাট থানায় গিয়ে এই মামলার কেস ডায়েরিও সংগ্রহ করে সিবিআই
রামপুরহাট থানায় গিয়ে এই মামলার কেস ডায়েরিও সংগ্রহ করে সিবিআই
Rampurhat Violence: রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডের পর বগটুই গ্রামে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প তৈরি হয়েছে
রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডের পর বগটুই গ্রামে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প তৈরি হয়েছে।