Birbhum News: পাথরচাপুড়িতে মেলার উদ্বোধনে অনুব্রত, কেন 'একসঙ্গে' দেখা গেল না কাজলকে ?
Anubrata Kajol Controversy: সরকারি মঞ্চেও পাশাপাশি দেখা গেল না অনুব্রত-কাজলকে, অনুব্রত এলেও কেন এলেন না কাজল ?

ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: পাথরচাপুড়িতে মেলার উদ্বোধনেও অনুব্রত-কাজল পাশাপাশি নেই। সরকারি মঞ্চেও তাদের পাশাপাশি দেখা গেল না। সভাপতি এবং সভাধিপতির দ্বন্দ্ব চরমে। অনুষ্ঠানে এলেও অনুব্রত মণ্ডল আসার আগে মঞ্চ ছাড়েন লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ।
পাথরচাপুড়িতে মেলার উদ্বোধনেও অনুব্রত-কাজল পাশাপাশি নেই
শনিবার জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠকে তাঁদের একসঙ্গে দেখা যায়নি। রবিবার পাথরচাপুড়ি মেলার উদ্বোধন মঞ্চেও একসঙ্গে, দেখা গেল না অনুব্রত মণ্ডল ও কাজল শেখকে। রবিবার সরকারি অনুষ্ঠানে তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা এসআরডিএ চেয়ারম্যান অনুব্রত থাকলেও ছিলেন না জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল। এ প্রসঙ্গে অনুব্রত কোনও মন্তব্য করেননি। তবে সিউড়ির বিধায়ক তথা জেলা কোর কমিটির. আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, 'এটা প্রশাসনিক অনুষ্ঠান, কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়। জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে সকলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। যাঁদের ইচ্ছে হয়েছে এবং সময় হয়েছে তাঁরা এসেছেন। বাকিরা হয়তো পরে কখনও আসবেন।'
'কাজলও একই কাজ করলেন না তো?
রবিবার ১৩৩তম পাথরচাপুড়ি মেলার উদ্বোধন উপলক্ষে হজরত দাতা মেহবুর শাহ ওয়ালির মাজারের বাইরে একটি অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়। সেখানে অনুব্রত ছাড়াও ছিলেন জেলাশাসক বিধান রায়, রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্ৰনাথ সিংহ, সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) বিশ্বজিৎ মোদক-সহ জেলা প্রশাসনের অন্য আধিকারিকেরা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতদের তালিকায় কাজল শেখের নাম থাকলেও তিনি ' আসেননি। তাঁর অনুপস্থিতির কারণ সম্পর্কেও কিছু জানা যায়নি। বিরোধী শিবিরের এক নেতার টিপ্পনী, “কোর কমিটির বৈঠক ডেকেও অনুব্রত অনুপস্থিত থেকে এ দিন অনুব্রতের সঙ্গে এক মঞ্চে কার্যত কাজলকে এড়িয়ে গিয়েছিলেন। উপস্থিত না থেকে কাজলও একই কাজ করলেন না তো?”
আরও পড়ুন, বেসরকারি হাসপাতালে বিল দিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন ? এবার বড় নির্দেশ স্বাস্থ্য কমিশনের !
'মমতা দিদির সঙ্গে কথা বলব'
এ দিন মঞ্চে বক্তব্য রাখতে উঠে মেলার পার্কিংয়ের জায়গা নিয়ে সমস্যার কথা তোলেন অনুব্রত। তিনি বলেন, “মেলার বড় পার্কিংয়ের জায়গা প্লট করে বিক্রির পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এটা হলে মেলার আয়তন অনেক ছোট হয়ে যাবে। আমি ওয়াকফ বোর্ডকে বলব জায়গাটি কিনে নিতে। প্রয়োজনে আমি এই বিষয়ে মমতা দিদির সঙ্গে কথা বলব।” বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে জেলা প্রশাসনও।প্রসঙ্গত, কাজল শেখের পাশাপাশি লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ এর সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের দূরত্ব রয়েছে।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
