Birbhum News: কোপাই নদীর চর দখল করে উঠছে পাঁচিল, গতিপথ বদলে বানভাসি হওয়ার আশঙ্কায় বাসিন্দারা
সুন্দরী কোপাই। অভিযোগ, সেই নদীর চর দখল করে চলছে বেআইনি নির্মাণ। কোপাইয়ের চর দখল করে তোলা হচ্ছে পাঁচিল। বানভাসি হওয়ার আশঙ্কায় আদিবাসী গ্রাম।
আবীর ইসলাম, বীরভূম: কোপাই নদীর (Kopai River) চর দখল করে পাঁচিল দিয়ে ঘেরা হচ্ছে বিস্তীর্ণ এলাকা। নদীর গতিপথ বদলে বানভাসি হওয়ার আশঙ্কায় প্রশাসনের দ্বারস্থ আদিবাসী গ্রামের বাসিন্দারা। বীরভূমের (Birbhum) শান্তিনিকেতনের (Shantinikaetan) কমলাকান্তপুর এলাকার ঘটনা। বেআইনি নির্মাণের কথা স্বীকার করে নিয়ে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।
সুন্দরী কোপাই। অভিযোগ, সেই নদীর চর দখল করে চলছে বেআইনি নির্মাণ। কোপাইয়ের চর দখল করে তোলা হচ্ছে পাঁচিল। বানভাসি হওয়ার আশঙ্কায় আদিবাসী গ্রাম। এই ছবি বীরভূমের শান্তিনিকেতন থানার অন্তর্গত কমলাকান্তপুর এলাকার। যেখানে কোপাই নদীর এক পাড় বরাবর গড়ে উঠছে কংক্রিটের পাঁচিল। আর তাতেই বড় বিপর্যয়ের সিঁদুরে মেঘ দেখছে নদীর অপর পাড়ের আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম কোঁড়া পাড়া।
আসন্ন বর্ষায় নদীর গতিপথ বদলে বানভাসি হওয়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা। নদীর একপাড় কংক্রিটের পাঁচিল দিয়ে ঘিরে দেওয়ায়, অন্য পাড়ে বাঁধ ভাঙার প্রবণতা বাড়বে বলে গ্রামবাসীদের উদ্বেগ।
রূপপুর কোঁড়া পাড়ার বাসিন্দা রাম সোরেনের কথায়, আমরা অভিযোগ করেছি। কোপাই ধ্বংসের মুখে। গতিপথ পরিবর্তন হয়ে যাবে। সামনে বর্ষা আসছে। আমরা ভেসে যাব। ৮০টা বাড়িরই ক্ষতি হবে। প্রতিকার চেয়ে বিডিও, পুলিশ এবং বন দফতরের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন আদিবাসী গ্রামের বাসিন্দারা। নদীর চরে নির্বিচারে অরণ্য ধ্বংস করে এই নির্মাণ কাজ চলছে বলেও অভিযোগ জানানো হয়েছে।
কোপাইয়ের চরে পুরো কাজটাই যে বেআইনি ভাবে হচ্ছে, তা স্বীকার করে নিয়েছে খোদ প্রশাসন। কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিডিও। বোলপুর-শ্রীনিকেতনের বিডিও শেখর সাই-এর কথায়, অভিযোগ পেয়েছি। যে কাজটা হচ্ছে পঞ্চায়েত থেকে পারমিশন নেওয়া হয়নি। সম্পূর্ণ বেআইনি কাজ হচ্ছে। কোপাই নদীর গতি পরিবর্তনের যে শঙ্কা, তা খতিয়ে দেখব। আপাতত কাজ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু কার মদতে নদীর চর দখল করে বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে? এই নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। নেচার অ্যান্ড লিভিং প্রাইভেট লিমিটেড নামে যে বেসরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে, সেই সংস্থার এক কর্তার সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও, তিনি ফোন ধরেনি।