Birbhum News: ধান খেয়েছে ছাগলে, লাঠালাঠি, রক্তারক্তি দুই গ্রামের
Birbhum News:অভিযোগ ইলামবাজার থানার নৃপতি গ্রামের মাঠের ধান পাইকুনি গ্রামের ছাগল খেয়ে নেয়৷ এই অভিযোগ কয়েক দিন ধরেই ছিল৷ ছাগল চরাতে গ্রামের মাঠে নিয়ে আসা হয়৷ সেই সময় ধান খেয়ে নেয় ছাগলে৷
আবির ইসলাম, বীরভূম: ছাগলে (Goat) মাঠের ধান (Paddy) খেয়ে নেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের সংঘর্ষ (Clash)। আহত দুপক্ষের প্রায় ৮ জন। ঘটনাটি ইলামবাজার (Birbhum-Ilambazar) থানার পাইকুনি ও নৃপতি গ্রামের৷ মাঠের ধানও লুঠ করা হয় বলে অভিযোগ। মাথা ফেটে, হাত-পায়ে আঘাত লেগে রক্তাক্ত অবস্থায় দুপক্ষের ৬ চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে । অভিযোগ ইলামবাজার থানার নৃপতি গ্রামের মাঠের ধান পাইকুনি গ্রামের ছাগল খেয়ে নেয়৷ এই অভিযোগ কয়েক দিন ধরেই ছিল৷ ছাগল চরাতে গ্রামের মাঠে নিয়ে আসা হয়৷ সেই সময় ধান খেয়ে নেয় ছাগলে৷ পাশাপাশি দুই গ্রামের উভয়পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে ধান লুটের অভিযোগ তুলে এই নিয়েই শুরু হয় দুই গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষ ৷ বাঁশ-লাঠি নিয়ে দুই পক্ষের লোকজন চড়াও হয় একে অপরের উপর৷ গ্রামের মাঠে চলতে থাকে সংঘর্ষ৷ খবর পেয়ে ইলামবাজার থানার পুলিশ আসে ঘটনাস্থলে। পুলিশ কোনওক্রমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এলাকার পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ ও থমথমে হয়ে রয়েছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ।
গরু, ছাগলের ধান খাওয়ার ঘটনা গ্রামে প্রায়ই দেখা যায়। তবে তা নিয়ে রক্তারক্তি কাণ্ড খুবই কম হয়। আলোচনার মাধ্যমেই সাধারণত পরিস্থিতির সমাধান হয়। কিন্তু এই দুটি গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে জমির ধান ছাগলের খেয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘিরে সংঘর্ষ বেধে গেল। ছড়াল তীব্র উত্তেজনা।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে জমি বিবাদ নিয়ে রক্তারক্তি কাণ্ড বেধে গিয়েছিল মালদার একটি গ্রামে। ঘটনা.য় উভয়পক্ষের চারজন জখম হয়েছিলেন। মালদার চাঁচল থানার চন্দ্রপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কল্কি মোড়ের ঘটনায় উভয়পক্ষের চারজনকে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উভয় পক্ষ চাঁচল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল, মালদার চাঁচলের চন্দ্রপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কল্কি মোড়ের বাসিন্দা আবেদ আলী তাঁর ভাগে পাওয়া বসতভিটেতে তাঁর ছেলে বাড়ি করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই কথা তাঁর ভাইদের কে জানালে বড় ভাই দিল মোহাম্মদের ছেলেরা তাতে বাধা দেয়। এই নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। অভিযোগ, সেই সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আবেদ আলীর ছেলে বেলালের উপর হামলা চালায় দিল মোহাম্মদের ছেলে ইমরান, দাউদ হুমায়ুন । দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় সংঘর্ষ। ঘটনায় আহত হয় উভয় পক্ষের চারজন। তড়িঘড়ি চারজনকে প্রথমে মালতিপুর গ্রামীণ হাসপাতাল, পরে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।